
পীরগঞ্জ প্রতিনিধি, রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অনেক ভুমিহীন পরিবার সরকারী ভাবে ঘর বরাদ্দ প্রাপ্তির আশায় দীর্ঘ দিন ধরে প্রহর গুনছেন । তারা চায় তাদের মাথা গোঁজার একটু নুন্যতম স্থায়ী আশ্রয় । এমনি পরিবার গুলোর মধ্যে চতরা ইউনিয়নের একটা নিদৃষ্ট স্থানের ৫০টি পরিবার রয়েছে । তারাও প্রহর গুনছেন একটু স্থায়ী আশ্রয়ের জন্য ।
জানা গেছে, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের শমসের পাড়া থেকে ধর্মদাস পলিপাড়া পর্যন্ত গড়ের উপর অনেক মানুষের বসবাস । তাদেও মধ্যে ৫০টি পরিবার রয়েছে যারা একেবারে ভ’মিহীন । যেনতেন ভাবে এ গড়ের উপরেই মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন । মাটির তৈরী ঘরের উপর নামমাত্র ছাউনি দিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাত কাটাচ্ছেন তারা। আকাশে মেঘ জমলে, মেঘের গর্জনে এরা ভয় পায়। অর্থের অভাবে স্থায়ী ঘর তৈরী করতে না পারায় এ পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেক সচ্ছল পরিবার গড়ের খাস জায়গা দখল নিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করলেও ৫০ টিরও বেশি ভুমিহীন পরিবার স্থায়ী ঘর নির্মান করতে পারেননি ।
এ পরিবার গুলোর বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন । শমসের পাড়া গ্রামের ভুমিহীন আমজাদ আলী ও আজিজার রহমান এর মতে তারা গত ৩০ বছর ধরে এ গড়ের উপরই বসবাস করছেন। মাটির তৈরী দেয়াল বর্ষা এলেই ধ্বসে ভেঙে যায়। তাই প্রতি বছরই ঘরগুলো সংস্কার করতে হয় । তারা সরকারের দেয়া উপহার মডেল ঘর প্রত্যাশা করলেও কি ভাবে পাবেন তা অজানা । তাদের অনেকেই ইউনিয়ন ও উপজেলা ভুমি অফিসে যোগাযোগ করেও এখনও কোন ফল পাননি। তার পরেও তাদের প্রত্যাশা ঘর পাবেন । আর সে অপেক্ষায় রয়েছেন এ ভ’মিহীন পরিবার গুলো ।
এ ব্যাপারে চতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, প্রতিটি ভুমিহীন পরিবার ঘর বরাদ্দ পাবে। চতরা ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, ভুমিহীনদের নাম অন্তভর্’ক্ত করা হয়েছে। ঘর পাবে,তবে সময় লাগবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / বখতিয়ার রহমান/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: