ডেস্ক রিপোর্টার: চমেক হাসপাতালে একটি এক্স-রে টিউব নষ্ট হওয়ায় পাঁচ কোটি টাকার এনজিওগ্রাম মেশিন অকেজো এক বছর ধরে। এ যন্ত্রটি বিকল হওয়ায় জটিল হার্টের সেবা থেকে বঞ্চিত হাজারো অসহায় রোগী। কর্তৃপক্ষ বলছে, মেশিনটি সংস্কার চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বারবার জানালেও সুরাহা হচ্ছে না।
শরীরের রক্তনালি পরীক্ষার অত্যাধুনিক মেশিন এই এনজিওগ্রাম। যার মাধ্যমে হার্টের রিং লাগানো, ব্লক নির্ণয় ও সরুপথ প্রশস্ত করা করা হয়। হৃদ্স্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে শরীরে এটির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয় পেসমেকারসহ নানা ডিভাইস। কম্পিউটারে নিয়ন্ত্রিত হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী অতি জরুরি চমেকের একমাত্র মেশিনটিও মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়।
এটির মতো আরেকটি হৃদ্রোগের এনজিওগ্রাম মেশিন সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে পড়ে আছে বলে জানান চমেক হৃদ্রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রিজোয়ান রেহান।
চমেক হৃদ্রোগ বিভাগের ক্যাথ লাব টেকনোলজিস্ট আনোয়ার হোসেন জানান, জাপানের শিমার্জু ব্র্যান্ডের এনজিওগ্রাম মেশিনটি চট্টগ্রাম মেডিকেলের হৃদ্রোগ বিভাগে স্থাপন করা হয় ২০১৬ সালে। এক বছর আগে শুধু একটি এক্স-রে টিউব নষ্ট হওয়ায় পড়ে আছে পুরো পাঁচ কোটি টাকার মেশিনটি। এতে হৃদ্রোগের নানা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগে গরিব-অসহায় হাজারো জটিল রোগী।
চমেক হৃদ্রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আশীষ দে জানান, মেশিনটি সংস্কার চেয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সুরাহা হচ্ছে না। এতে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে খারাপ হচ্ছে রোগীর অবস্থা।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের তিন কোটি মানুষের ভরসার স্থল এ হৃদ্রোগ বিভাগ। গত ১৫ বছরে ১১ হাজারের বেশি গরিব-অসহায় রোগী কম খরচে ব্যয়বহুল এ এনজিওগ্রামের সেবা নিয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: