
শরিফুল ইসলাম বাবুল,সখিপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: মরু অঞ্চলের জনপ্রিয় ফল ত্বীন চাষে সফলতা পেলেন টাঙ্গাইলের লালমাটির পাহাড়ি অঞ্চল সখিপুর উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা দুই সহোদর জাবিদ ও সোয়াইব। করোনা পরিস্থিতিতে স্বল্প সময়ে পুষ্টি ও ওষুধিগুণ সম্পন্ন এ ফলের চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তারা। তবে দেশে অপ্রচলিত এ ফলের সঠিক দাম পেতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি করেছেন ত্বীন ফল চাষি কৃষি উদ্যোক্তা দুই ভাই।
এ বিষয়ে কথা বলে জানা যায়, প্রথমবারের মতো ডুমুর সদৃশ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলের চাষ হয়েছে সখিপুর উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামে। উদ্যমী তরুণ উদ্যোক্তা জাবিদ আল মামুন ও সোয়াইব আহাম্মেদ নয়ন এই ত্বীন ফলের চাষ করেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে একহাজার চারা দিয়ে দুই বিঘা জমিতে ত্বীনের আবাদ শুরু করেন। রোপণের তিন মাসের মাথায় শুরু হয় ফল সংগ্রহ। তারা এ বাগানে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। এ বছর ১৫ লক্ষ টাকার ত্বীন ফল বিক্রির আশ করছেন। বিষমুক্ত উপায়ে ত্বীন উৎপাদনে বাগানে ব্যবহার করা হচ্ছে জৈব বালাইনাশক। করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার কর্মহীন হয়ে যাওয়া ছয় জন শ্রমিকও এ বাগানে নিয়মিত কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
তরুণ উদ্যোক্তা জাবিদ আল মামুন জানান, লেখাপড়া শেষ করে করোনা কালিন সময়ে বেকার হয়ে পড়ি। ইউটিউবে ত্বীন ফলের চাষ দেখে আগ্রহী হই। গাজীপুর থেকে চারা এনে ত্বীন চাষ শুরু করি।সৌদি আরবসহ মরু অঞ্চলে পবিত্র ফল হিসেবে ত্বীনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ডুমুর সদৃশ এই ত্বীন ফল যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টি সমৃদ্ধ। মুসলিম অধ্যুষিত মরু অঞ্চলে এই ফল পবিত্র হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। এ ফল ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করেন মরু অঞ্চলের মানুষ।
দুই ভাই মিলে নিজেদের ২ বিঘা জমিতে শুরু করি ত্বীন চাষ। আমাদের উপজেলা লালমাটি সমৃদ্ধ এলাকা। তাই প্রথমদিকে ভেবেছিলাম হয়তো এখানে এই ফলের চাষ ভালো হবে না। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই ত্বীন ফলের গাছ পুষ্ট হয়ে বড় হতে থাকে। ৩ মাসের মধ্যে সেই গাছে ত্বীন ফল আসে। সঠিক বাজার ও সরকারি সহায়তা পেলে আশাকরি সফলতা আসবে এবং এই উপজেলা সহ সারা দেশে আরো কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: