• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বাকেরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫৩ পিএম
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন
নির্যাতন প্রতীকী ছবি

মো. জাহেদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ  প্রতিনিধি: বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধাল ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের মোঃ বাবুল গাজীর মেয়ে রাজিয়া বেগমের সাথে ৩ বছর আগে একই ইউনিয়নের চর গোমা গ্রামের আবুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মোঃ সোহেল হাওলাদারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

দাম্পত্য জীবনে এক কন্যর জননী হন রাজিয়া বেগম, বর্তমানে সোহেল রাজিয়া দম্পতির  কন্যার বয়স দেড় বছর, উল্লেখ্য বিবাহের পর সোহেল নানান অজুহাতে রাজিয়াকে বাপের বাড়ি থেকে  টাকা ও স্বর্ণালংকার যৌতুক হিসাবে নেয়ার তাগিদ দিত, মেয়ের শান্তির জন্য শত কষ্টের মাঝেও অসহায় রাজিয়ার বাবা এক ভরি স্বর্ণের চেইন, নগদ এক লক্ষ টাকা জামাই সোহেলকে যৌতুক হিসেবে দেন,পরিতাপের বিষয় লোভী সোহেল হাওলাদার স্বর্ণ ও টাকার লালসায় মেতে উঠেন,এবং আরো এক লক্ষ টাকার দাবি করেন রাজিয়ার কাছে,  টাকা আনায় অস্বীকৃতি জানালে রাজিয়ার উপরে চালানো হয় শারীরিক ও মানুষিক  নির্যাতন।

একপর্যায়ে ৮ মাসের কন্যা সন্তানকে রেখে  রাজিয়া কে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাবার বাড়িতে,অসহায় রাজিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এলাকার চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে অবহিত করলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ খান উজ্জল -সোহেল হাওলাদার ও তার বাবা কে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকে এবং সালিশের প্রস্তাব দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ অমান্য করে সোহেল ও তার বাবা, অতঃপর রাজিয়া বেগম বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও বরিশাল কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরকরার কিছুদিন যেতে না যেতেই সমঝোতায় আসতে চায় সোহেল,  রাজিয়া কে ফোন করে নিজের ভুল শুধরে নিবে বলে আকুতি মিনতি শুরু করে, এক পর্যায়ে এসে  রাজিয়া সোহেলকে জানায় যেহেতু আমার প্রাপ্ত বয়সে বিবাহ হয়নি বিদায় আমাকে কাবিন দিতে পারেননি, এখন আমার ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, আমার এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার কাবিনের শর্ত থাকলেও এ পর্যন্ত আমাকে  কাবিন দেওয়া হয়নি, প্রতিনিয়তঃ আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে, অতঃপর সোহেল রাজিয়াকে কাবিন দিবে বলে আশ্বস্ত করে এবং রাজিয়ার দায়েরকৃত  মামলা উঠিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দেয়, রাজিয়া সরল মনে শিশু কন্যার টানে রাজি হয়ে স্বামীর বাড়ি তথা সোহেলের বাড়ি যায়, এ যেন এক প্রতারণার ফাঁদ অতঃপর রাজিয়া স্বামী সোহেলের উপর থেকে দায়েরকৃত মামলা উঠিয়ে নেয় রাজিয়া।পরপরই বের হয়ে আসে নাটকীয়তার আসল রূপ, বানোয়াট মিথ্যা পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয় আপত্তি কর স্থান সহ সমস্ত শরীর।

স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ১৭-০৯-২০২২ শনিবার খবর পেয়ে রাজিয়ার বাবার বাড়ির লোকজন এসে অচেতন অবস্থায় সোহেলের বাড়ী থেকে রাজিয়া কে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে, বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন রাজিয়া।

এমতাবস্থায় প্রশাসনের কাছে- যৌতুকলোভী, নারী নির্যাতনকারী-সোহেলের  বিচারের দাবি জানিয়েছেন রাজিয়ার পরিবার।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image