• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩৫ পিএম
ভোর থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড

নিউজ ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনও সময় আছে নিরাপদে সরে যান, না হয় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না। শনিবার বিকালে খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত দলের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দেশে এই সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। কারণ এই সরকার জানে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের কোনো চিহ্ন থাকবে না, তারা ১০ টি আসনও পাবে না।’

শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জনগণের ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেন নাই। সংসদ বিলুপ্ত করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। কারণ এই দেশে আপনাদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে পারে না, সেই কারণে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থাই জনগণ মেনে নেবে না।’

তিনি বলেন, গত তিনদিনে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজারো নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছে। চুকনগরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুলি করা হয়েছে, কেশবপুরে ১৫জন গুলিবিদ্ধ, মোংলা থেকে আসার সময় কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছে। রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়ার ১০০ নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছে। খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী থানার নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। বাগেরহাটে ৭০জনের মত নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছে, ৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ নম্বর, ৭ নম্বর ঘাটে ট্রলার ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে, খুলনা রেলস্টেশনে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। গাজীরহাটে একজন কর্মী পানিতে ডুবে গেছে এখনো তাকে পাওয়া যায়নি। রূপসা ঘাটে হামলা হয়েছে, জেলখানা ঘাটে হামলা হয়েছে।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। বক্তব্য দেওয়ার মাঝপথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি চেয়ারে বসে বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, মশিউর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, ড. ওবায়দুল ইসলাম, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, অমলেন্দু দাস অপু, নৈওয়াজ হালিমা আরলি, আমিরুল ইসলাম খান শিমুল, সাদেক খান, এস এম জিলানী, শহীদুল ইসলাম বাবুল, অধ্যক্ষ নার্গিস বেগম, ফজলুর রহমান খোকন ও ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণসহ অন্যান্যরা।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image