মোঃ রেজওয়ান আলী, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: উপকার ভোগীদের সদস্য নাম তালিকা নিয়ে প্রতারণায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ প্রদান করেছে বলে জানা যায়।
৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার দিনাজপুর বিরামপুরে বনবিভাগের উপকার ভোগীর নাম তালিকা প্রনয়ণে প্রতারণা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ হয়েছে। উক্ত বিষয়ে সরজমিনে জানা যায়,উপজেলার অর্ন্তরভূক্ত খাঁনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধঁনতলা গ্রামের দক্ষিণ পার্শ্বে বেল পুকুর মৌজার ৯২ নং দাগে ১.৩৩ শতক জমির মধ্যে গত ২০০৪ সালে বন বিভাগ এবং স্হানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মরহুম সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বদান কালে তার সহযোগিতায় উক্ত গ্রামের উপকার ভোগী ১৪জনের সমন্বয়ে আকাশ মনি,ইউকালেক্টর,আম সহ কয়েক ধরনের গাছ উক্ত জায়গায় রোপণ করা হয়।
উক্ত গাছ গুলো রোপণ শেষ হওয়ায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন উক্ত উপকার ভোগীদের নাম বন বিভাগে উপকার ভোগী নাম তালিকায় দেওয়ার জন্য দলের বিশ্বাস্হ্য ২জনের নাম দিতে বলায় আঃ গফুর পিতা মৃতু হাসেন আলী এবং খায়রুল পিতা মৃত্যু আঃ সোবহান সাং ধনতোলা এদের ২জনের নামে উপকার ভোগীর দলিল তৈরি হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে উক্ত ২জন কে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাকি সদস্যদের সাথে ডকুমেন্টস করে দিতে বলার পরও ২জন সদস্য বাকি সদস্য গণের সাথে কোন কিছু না বলে তাদের সাথে প্রতারণা করে বিষয় টি গোপন রাখার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে বিষয় টি দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। এমতাবস্থায় বাকি উপকার ভোগী সদস্যরা বিষয় টি নিয়ে তাদের উক্ত ২ জনকে বসার জন্য বললে তারা বলেন সব ঠিক আছে। সকলেই সদস্য হয়ে আছেন কোন সমস্যা নাই। এবিষয়ে ডকুমেন্টস করতে বললে তারা তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায় উক্ত বনের ১২শত গাছ গুলোর গায়ে বন বিভাগ থেকে নাম্বারিং করলে বাকি সদস্য গণ উপজেলা বন বিভাগে তাদের নামের তালিকা দেখতে আসলে বন বিভাগের অফিসার জানান আপনাদের নাম তালিকায় নাই। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাকি সদস্য গণ গতকাল ৪ঠা সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর উক্ত ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
এবিষয়ে অভিযোগ কারী উপকার ভোগীদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন,আমাদের নিজের অর্থে আমরা উক্ত গাছ গুলো রোপণ করেছি এবং এতদিন যাবৎ দেখাশোনা করেছি অথচ আমাদের সদস্য তালিকায় নাম নাই। আমাদের সকলের নাম উপকার ভোগীদের নাম তালিকা প্রনয়ণের জোর দাবি জানান। তারা আরও বলেন,আমাদের সকলের সাথে উক্ত ২জন আব্দুল গফুর মিয়া ও খায়রুল ইসলাম যে প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান।
আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,চরকাই রেন্চ সামাজিক বনায়ন এবং জাতীয় সংসদ শিবলী সাদিক বরাবর অভিযোগটি দাখিল করেছেন বলে জানা যায়। এবিষয়ে উক্ত গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়া ও খায়রুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা উক্ত বন বিভাগের জায়গায় সাবেক ইউপি সোহরাব চেয়ারম্যান সময় আমাদের ২জনের নামে ডিট হয়। বাকি সদস্য গণ আমাদের সহিত কোন রকম আলোচনা করেন নাই। তারা আমাদের সাথে আলোচনা করলেই এর সমাধান হবে বলে জানান।।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: