• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের সম্মেলন শনিবার, উৎসবের আমেজে উদ্দীপ্ত


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:২৭ পিএম
উৎসবের আমেজে উদ্দীপ্ত
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

মো. নজরুল ইসলাম, ময়মসনসিংহ : বহুল প্রত্যাশিত ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল আগামী ৩ ডিসেম্বর শনিবার স্থানীয় সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হবে। 

সম্মেলনকে ঘিরে ময়মনসিংহ যেন এক উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপণা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে  এবং নেতাকর্মীদের পছন্দের ব্যক্তিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার প্রত্যাশা সম্বলিত নানা ডিজাইনের পিভিসি, প্যানা, ফেস্টুন ও পোস্টারে প্রধান সড়কসহ নগরীর সড়কদ্বীপ ছেয়ে গেছে। 

ময়মনসিংহ-গাজীপুর চারলেন সড়কের চরপাড়া মোড় থেকে ভালুকার জৈনা বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন অংশের আইল্যান্ড ও বিলবোর্ড স্থান পেয়েছে। নজরকাড়ার জন্য কম-বেশি প্রচারণা চালাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীর সমর্থকরা। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ৩ ডজনের বেশি পদপ্রত্যাশী থাকলেও চোখে পড়ার মতো প্রচারণা ও নিজের শক্তির জানান দিচ্ছেন ২ জন। পদপ্রত্যাশীরা ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক টিমের কাছে তাদের বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থা ও দলের নিজস্ব রিপোর্ট ইতোমধ্যেই ঢাকায় প্রতিবেদন দিয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। 

জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির পদে থাকলেও  বিভিন্ন সময় তারা ছিলেন সমালোচিত। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন অধিকাংশ নেতা। সংগঠনকে গতিশীল করতে ব্যর্থ হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ। নানা দিবসে ব্যাপক অনুষ্ঠানাদি পালন করলেও সাংগঠনিকভাবে জেলা আওয়ামী লীগের অগ্রগতি তেমন হয়নি বলে ত্যাগী নেতার্কীমের অভিমত।

 এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের জননন্দিত মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। শেষ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকলে দলীয় প্রধান চাইলে তিনিই হতে পারেন মহানগর আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভাপতি। ময়মনসিংহে শুধু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাকর্মী নয় সাধারণ মানুষেরও আশ্রয়স্থল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। 

অনেক নেতৃবৃন্দকেই যেখানে এলাকাতে পাওয়া যায় না সেখানে তিনি প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশন অফিসে সাধারণ মানুষকে এবং সন্ধ্যায় চেম্বার অফিসে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সময় দিয়ে যাচ্ছেন। সবার অভাব-অভিযোগ, সমস্যা শুনছেন, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছেন, বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছেন বা পরামর্শ প্রদান করছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরও হৃদয়ের মঞ্জিলে তিনি নিয়েছেন ঠাঁই।

ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে উভয় দায়িত্বই গুরুত্বের সাথে পালন করে যাচ্ছেন ইকরামুল হক টিটু। সকল রাজনৈতিক ও জাতীয় দিবসে সরব উপস্থিতি ও সংগঠনকে চাঙ্গা রাখতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সফরের আয়োজনের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিশেষ করে তরুণ নেতাকর্মীদের আইকন ও প্রাণের মানুষে পরিণত হয়েছে মেয়র টিটু। ময়মনসিংহ জেলা, মহানগর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ ও আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ তার অনুসারী।

মেয়র টিটু সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মিশে যেতে পারেন, সকল শ্রেনীর মানুষের আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ করেন এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজনৈতিক, সামাজিক কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিনি একজন নিবেদিত নেতা। এমন মন্তব্য করেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। 

কোভিডকালীন মেয়র টিটুর কার্যক্রম সারা দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষতঃ করোনায় অনেক জনপ্রতিনিধি কে যখন জনগণের পাশে পাওয়া যায়নি সে সময় করোনার ঝুঁকিকে মাথায় নিয়ে খাদ্য বিতরণ, জীবানুনাশক ছিটানো, কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন এবং সরকারের বিভিন্ন নির্দেশ বাস্তবায়নে মাঠে থেকেছেন। 

বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, মেয়র ইকরামুল হক টিটু সব সময় মূল সংগঠনসহ সকল অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলে সাংগঠনিক কর্মকান্ড আরও বেগবান হওয়ার পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হবেন।

একজন নগর পিতা হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যেমন ইকরামুল হক টিটুকে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সব সময় হাত বাড়ালেই পান, ঠিক তেমনি মহানগর আওয়ামী লীগের ‘অভিভাবক’ হিসেবেও সার্বক্ষণিক কাছে পাওয়ার মতো নেতা হতে পারেন তিনিই। রাজধানী ছেড়ে বরাবরই এলাকামুখী এই রাজনীতি পুরোপুরি সাংগঠনিকভাবে তৎপর।

তাঁর মানবিক ঔদার্য্য, উজ্জ্বল পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও চব্বিশ ঘন্টা জনসম্পৃক্ততা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে তাঁর সম্ভাবনার পাল্লাকে ভারী করেছে। দুর্যোগে-দুর্বিপাকে সবার পাশে, এমন শ্লোগানের মতোই সাহস খোঁজার প্রেরণাময় রাজনীতিক ইকরামুল হক টিটুই। আমাদের আনন্দ-বেদনা, মিলন-বিরহ-সঙ্কটে তিনিই ভরসা রাখার মতোন একমাত্র নেতা, বলছিলেন-ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহীনূর রহমান।

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সদস্য ও শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরিফ বলেন, আওয়ামী লীগ এখন একটি বিশাল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অনেক নেতাকর্মী তাদের নানা রকম চাহিদা এবং বিভিন্ন রকম ইস্যু রয়েছে। এ কারণে এই জায়গাটিতে মেয়র ইকরামুল হক টিটুর মতো নেতাকে সময়ের সুতীব্র প্রয়োজন। সাংগঠনিক তৎপরতার দিকেও সার্বক্ষণিক নজর রাখার মতো বিশাল মানসিকতা ও সামর্থ্য রয়েছে তাঁর। হৃদয়ের ঐকতানে ক্লান্তিহীন স্বপ্ন-অভিযাত্রী যোদ্ধা নগর পিতা হিসেবেও যেমন সেরা তেমনি মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে ‘বেস্ট অব দ্য বেস্ট’।

রাজনৈতিক জীবনের বাঁকে বাঁকে ইকরামুল হক টিটু প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বস্ত ও আদর্শের প্রতি অনুগত থাকলে একজন জননন্দিত রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করা যায়, অমিত দৃঢ়তায় উচ্চারণ করেন ময়মনসিংহ মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম রায়হান।

তিনি বলেন, ‘নিজের কর্ম ও কৃতিত্বে ইকরামুল হক টিটু আওয়ামী লীগকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে নিয়ে গেছেন। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের একজন সার্বক্ষণিক নেতার যে অভাব অনুভব করছিলেন নেতা-কর্মীরা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সাংগঠনিক ‘ম্যাজিক ম্যান’ ইকরামুল হক টিটু নিজের নেতৃত্বের দৃঢ়তা ও বলিষ্ঠতায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে সক্ষম হবে মহানগর আওয়ামী লীগ।’

‘ময়মনসিংহের তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে ইকরামুল হক টিটু সততা ও আদর্শবাদের এক প্রতিকৃতি’ এমনটিই মনে করেন ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নুরুল আমিন কালাম। তিনি বলেন, ইকরামুল হক টিটু সার্বজনীন একজন রাজনীতির প্রতিকৃতি। সরকারের উন্নয়ন-সফলতা সাধারণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে নিরলস মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এলে একজন ফুলটাইম রাজনীতিককে পাবে মহানগর আওয়ামী লীগ।’

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি বলেন, উদ্দীপ্ত তারুণ্যের কাছে ‘আইকন’, মাননীয় মেয়র ইকরামুল হক টিটু। আধুনিক ও উদার এই নগর পিতা দক্ষতার সঙ্গে নগর পরিচালনার পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও আগলে রেখেছেন অপরিমেয় ভালোবাসার বাহুতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে তাঁর হাত ধরেই একজন সার্বক্ষণিক রাজনীতিক পাবে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ।’

একজন মেয়র হিসেবেও সফল মোঃ ইকরামুল হক টিটু। সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়নাধীন আছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ১২২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়ছে। সকল ওয়ার্ডে রাস্তা, ড্রেন নির্মাণের কাজ ব্যাপক গতিতে এগিয়ে চলেছে।  এছাড়াও মেয়রের নেতৃত্বে গত দুই বছর ধরে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন টানা ২ বছর এপিএ বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন সমূহেরে মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। 

মেয়র টিটু বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে যে কাজ করে যাচ্ছেন যে অগ্রযাত্রায় একজন সক্রিয় অংশিদার হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন নিয়ে ময়মনসিংহবাসীকে সিটি কর্পোরেশন দিয়েছেন সে স্বপ্নে বাস্তাবয়ন করতে চাই।

দলীয় সূত্র জানা গেছে, সম্মেলনের ৫ দিন আগে গত ২৮ নভেম্বরও মহানগর আওয়ামী লীগের ৪টি ওয়ার্ডের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এভাবেই গত ৬ মাসে মহানগরের ২১টি ওয়ার্ডে কমিটি দেওয়া হয়েছে। তবুও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকটি পোস্টে। শুরুতে সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ দিন পর পর কমিটি দেওয়া হয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যদিকে জেলার নিয়ন্ত্রণে থাকা উপজেলা কমিটি নিয়েও রয়েছে নানান আলোচনা। নানা সমালোচনার মধ্য দিয়ে ১০টি উপজেলার সম্মেলন সম্পন্ন হলেও এখনও বাকি ৩টি।

১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আলাদা আলাদা কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি ময়মনসিংহ সদর, ফুলপুর ও ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের। ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো শিল্পাঞ্চল ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের বহুল কাঙ্খিত সম্মেলন। নেতা-কর্মীরা তাকিয়ে ছিলেন সম্মেলনের দিকে। তারা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণ ফিরে এসেছিলো। ত্যাগী, বঞ্চিত ও যোগ্যরা ভেবেছিলেন উপজেলার পরই ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন হবে।

আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর শনিবার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি সম্মানিত অতিথি থাকবেন। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম এমপি ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও উপাধ্যক্ষ মি. রেমন্ড আরেং, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মোঃ শরীফ আহমেদ এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ এমপি, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু সহ জেলার অন্যান্য সংসদ সদস্যবৃন্দ। 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা সম্মেলনে সভাপতিত্ব এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত সম্মেলন পরিচালনা করবেন।

সূত্র জানায়, ১৭-০৯-২০১৮ তারিখে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বহুল কাঙ্খিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসব-আমেজ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদের জন্য বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ এমপি প্রমুখ প্রার্থী। 

সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগরের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-১ (অব্যাহতিপ্রাপ্ত)  কাজী আজাদ জাহান শামীম,  জেলার বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ আলী আকন্দ ও শরীফ হাসান অণু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান মোহাম্মদ আজাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম নূরুজ্জামান খোকন, জেলার যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস ও শওকত জাহান মুকুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিনা রশিদ প্রমুখ প্রার্থী।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন বর্তমান সভাপতি এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগরের সহ-সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কী টজু। 
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিল্লু, মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক লিটন চন্দ্র পাল, দপ্তর সম্পাদক শেখ কাজল, আমোকসুর সাবেক জিএস মোতাহার হোসেন লিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইয়েদুল আরেফিন রাসেল, মসিকের প্যানেল মেয়র-২ মাহবুবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image