
নিউজ ডেস্ক: শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায়, আব্দুস সালাম হলে গণফোরাম সভাপতি জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশ থেকে আসা নেতৃবৃন্দের আলোচনা শেষে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমরা কখনো দলের বা সরকারের সাথে আতাত বা আপোষ করার প্রশ্নই আসেনা। ভবিষ্যতে আমরা জনগণের সাথেই থাকবো সরকারি দল বা অবৈধ সরকারের সাথে আপোষ করবো না। যে সরকার নির্বাচিত হয়েছে রাতের অন্ধকারে এবং উনি ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে করেছেন তাই কোন বিবেকবান মানুষ সেই নির্বাচনকে বৈধ বলবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ্যে গণতন্ত্রমনা অসাম্প্রদায়িক জাতীয় ঐক্যের শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। সেই শক্তি নিয়ে আগামীতে যতদিন পর্যন্ত জনগণের অধিকার আদায় করে জনগণের শাসন অর্জন করতে না পারি ততদিন আমরা রাজপথে থাকবো এবং আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি, খুনাখুনি সহ সবই করছে। জয় বাংলা স্লোগানকে বিতর্কিত করতে নানা রাকমের ষড়যন্ত্র করতে এবং নানা অপকর্মের মাধ্যমে জয় বাংলার যে স্পিড ছিলো সেটা কিন্তু ধ্বংস করা হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন, কোন সুষ্ঠু রাষ্ট্রিয় ব্যাবস্থাপনা এমনকি সুষ্ঠু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে উপস্থাপিত গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী দলের বক্তব্য পাঠ করে শুনান । পরর্বতীতে প্রশ্নের জবাব বলেন নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক তারা কার্যত কিছুই করতে পারেনা। সেজন্য দেশে আজ অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে নয়, ঐক্যমতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন। যারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। প্রশাসনকে দলীয়মুক্ত করতে হবে। একটি সুষ্ঠু ও প্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে।
এই লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি ও সকল শ্রেণিপেশার মানুষের আশু কর্তব্য হলো অবিলম্বে একটি ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলে জনগণের কেড়ে নেয়া অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসীন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য ফজলুল হক সরকার, শ্রী রতন ব্যানার্জী, মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান বীর প্রতিক, আতাউর রহমান, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, আবুল হাসনাত, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বয় মোঃ হেলাল উদ্দিন ও লতিফুল বারী হামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুর রউফ(মেঘনা বিভাগ), আলীনূর খান বাবুল (খুলান বিভাগ), মামুনুর রশিদ মামুন (রাজশাহী বিভাগ), মীর্জা হাসান (রংপুর বিভাগ), এ কে এম রায়হান উদ্দিন (মংমনসিংহ বিভাগ), তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ সহ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণফোরাম সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী ।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: