নিউজ ডেস্ক : গণফোরামের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু’র সভাপতিত্বে ৩রা আগষ্ট তাঁর নিজ কার্যালয়ে গণফোরামের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নেতৃদ্বয় বলেন, কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শত শত হত্যা, হাজার হাজার মারাত্মক আহত ও গণগ্রেপ্তার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার যে গণ অভ্যুত্থান গড়ে উঠেছে তা ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এর লক্ষ্য-আদর্শে এক ও অভিন্ন।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নয় দফা সহ সর্বশেষ ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনে সংহতি ও পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করছি। প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে না দাঁড়িয়ে অসহযোগ আন্দোলনে সমর্থনের আহবান জানাই। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষক, ডাক্তার, শিল্পী ও আইনজীবী সহ সকল পেশাজীবী, অভিভাবক সহ সর্বস্তরের জনগণ দল-মত, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁদের অভিবাদন জানাই এবং চলমান অসহযোগ আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলনে যুক্ত থাকার আহবান জানাই। মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল সংগঠক ও যোদ্ধা যারা বেঁচে আছেন তাঁদেরকে এই আন্দোলনে সমর্থনের উদাত্ত আহবান জানাই। সত্যিকারের কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করতে পারে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য আব্দুল হাসিব চৌধুরী, ঢাকা বিভাগীয় সাংঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: