নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম দিনের মতো চলছে ফ্রান্সে সহিংস বিক্ষোভ। গত মঙ্গলবার প্যারিসের উপকণ্ঠে নাহেল মারজিউক নামে এক আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী তরুণ ট্রাফিক পুলিশের গুলিতে নিহত হলে এই দাঙ্গা ফ্রান্সের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
ফ্রান্সে ট্রাফিক পুলিশদের একটি বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো গাড়ির চালক ট্রাফিকের কথায় না থামলে তাকে গুলি করা যেতে পারে। তবে গুলিতে নিহত নাহেলের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেনি। সে ছিল একজন খাবার সরবরাহকারী। তার অতীতে কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল না। তাকে কাছ থেকে গুলি করা হয়। এজন্য একে পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ হিসেবে দেখছে সহিংস বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে নিহত তরুণের মরদেহ শনিবার দাফন করা হয়েছে। সেখানকার স্থানীয় মসজিদে পারিবারিক আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতদের উপস্থিতিতে শেষ যাত্রা সম্পন্ন হয় । ফ্রান্সে দাঙ্গা করার অভিযোগে এই পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফ্রান্সে উত্তর আফ্রিকান দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীরা অপেক্ষাকৃত গরিব এবং অপরাধ প্রবণ। এদের প্রতি স্থানীয় ফরাসিরা নিচু আচরণ করে থাকে। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এই দাঙ্গার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে। ফ্রান্সের মার্শেই, লিয়ন এখন গুলি বোমা ও লুটপাটের শহরে পরিণত হয়েছে। সূত্র. স্কাই নিউজ, বিবিসি
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: