
নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসে সরস্বতী বিদ্যা, বাণী আর সুরের দেবী। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যান্য সকল ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে সরস্বতী পূজা অন্যতম ধর্মীয় উৎসব।
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়ে থাকলেও করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ বছর পূজামণ্ডপে সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সকাল ৭টা ৭ মিনিটে শুরু হবে পঞ্চমী তিথি। আগামীকাল রোববার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে। এদিন সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের বাসা ও পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজা হবে। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহণ করবেন। এদিন শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যারদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে। সকাল ৯টায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে করোনার কারণে সরকারঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মেনে পূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল। এছাড়া এবার জাতীয় প্রেসক্লাবেও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মীয় রীতিতে গতকাল প্রত্যুষে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর ও চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর চরণামৃত নেন ভক্তরা। তাদের বিশ্বাস, দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। আজ শীতল ষষ্ঠীতে শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণের প্রথা প্রচলিত আছে। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: