নিউজ ডেস্ক : কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার কথা বলছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগস্টের ৫ তারিখের পরপর ৪৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী, আলোচিত বন্দি, জঙ্গি জামিন পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা-বিদ্রোহ করেন বন্দিরা। বিভিন্ন কারাগারে বাইরে থেকে চালানো হয় হামলা-ভাঙচুর। এ পরিস্থিতিতে ২ হাজারেরও অধিক বন্দি পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত কারা অধিদপ্তরে কারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন গৃহীত ব্যবস্থাদি সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া বন্দিসহ বিচারাধীন মামলার আসামিরা ছিলেন। এখন পর্যন্ত ৯০০ বন্দি পলাতক রয়েছেন। এদের পালিয়ে যাওয়া ৯৮ জন জঙ্গির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন জঙ্গি ছিলেন। পালিয়ে যাওয়া ৭০ জন জঙ্গি এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
আইজি প্রিজন্স বলেন, কয়েকটি কারাগার থেকে গোলাবারুদ লুটের ঘটনাও ঘটে এবং কয়েকটি কারাগারে বন্দি পলায়নের সময় কয়েকজন বন্দির মৃত্যুসহ অনেক কারা কর্মকর্তা এবং কারারক্ষী গুরুতর আহত হন। অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক ভাঙচুরের ফলে দুটি কারাগারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। অনেক কারা কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আবাসস্থলও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক সহায়তায় কারা বিভাগ অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে অন্যান্য কারাগারগুলো সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ বন্দিকেই কারাগারে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব হয়। এর মধ্যে কিছু বন্দি স্বেচ্ছায় এবং বাকিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়। এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ইতিমধ্যে কারাগারের লুটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের উল্লেখযোগ্য অংশও উদ্ধার করা হয়েছে, অবশিষ্টগুলো উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: