নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
এর আগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় রাশেদ খান মেননকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানির একপর্যায়ে রাশেদ খান মেনন আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার বয়স হয়েছে। ৮০-এর বেশি বয়স আমার। আমাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করা হোক। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রাশেদ খান মেননকে আবার তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ছয় বছর আগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় রাশেদ খান মেননকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালানো হয়। এতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়া ইমাম হোসেনসহ অনেকে গুরুতর জখম হন। এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে হুকুমের আসামি করা হয়।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেননকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৭ আগস্ট রাজধানীর আদাবর থানায় করা গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ২২ আগস্ট গ্রেফতার হন রাশেদ খান মেনন। ওই মামলায় ২৩ আগস্ট তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আদাবর থানায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় মেননকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি। আওয়ামী লীগ আমলে রাশেদ খান মেনন প্রথমে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ মেয়াদের সরকারে তিনি মন্ত্রিত্ব পাননি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে।
গত ২২ আগস্ট গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার হন সাবেক এ এমপি। এর পরদিন নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় তার প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৭ আগস্ট মেননের ছয় দিনের রিমান্ড হয়। তৃতীয় দফায় রিমান্ডে ছিলেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি কয়েকটি মামলায় রাশেদ খান মেননকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: