
নিউজ ডেস্ক
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভোগ্যপণ্যের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) স্বাভাবিক করতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার (তিন বিলিয়ন ডলার) বিশেষ ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। সাধারণত রমজান মাসে ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, তেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চিনির আমদানি কমেছে ২৮ শতাংশ। অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেলের আমদানি কম ৪৭ ও ৯৯ শতাংশ। ছোলা ৪৭ ও খেজুরের আমদানি কমেছে ৩০ শতাংশ।
সূত্র জানায়, এ কারণে ভোগ্যপণ্যের বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোগ্যপণ্যের বাজার ঠিক রাখতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দরকারি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ব্যাংকে ডলার সরবরাহ করতে দফায় দফায় চিঠি দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। সচিব জানান, বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠিতে নিত্যপণ্যের আমদানিতে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সচিব বলেন, রমজানে তেল, চিনি, মসুরের ডাল, ছোলা ও খেজুরসহ চাহিদাসম্পন্ন পণ্যগুলো আমদানি অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে। বাণিজ্য মন্ত্রালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর এ নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া বেসরকারি আমদানিকারকরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। রমজান মাস ঘিরে আমদানি করা পণ্যের মজুত রোধেও কঠোর নজর রাখার কথা জানান বাণিজ্য সচিব।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: