• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ভৈরবে মাদকের থাবা এখন পৌর শহরে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩০ পিএম
মাদকের থাবা এখন ভৈরব পৌর শহরে
মাদক ব্যবসা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : ভৈরবে পৌর শহরের ১২টি ওর্য়াডে এখন ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের মাদকদ্রব। মাদকের ভয়াল থাবায় বিপথগামী হচ্ছে উঠতি বয়সী তরুণ-ছাত্র -যুবক ভ্রাম্যামণ মাদক বিক্রেতারা সকাল থেকে রাত অবধি পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিনব কায়দায় বিক্রি করছে নানা ধরনের মাদক।

গত সোমবার ভৈরবের পৌর এলাকার ১২টি ওর্য়াডে সরে জমিনে ঘুরে, যে সকল মাদক ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া যায় তারা হলেন, ভৈরব পৌর এলাকার জগন্নাথপুরের মৃত আলু সিরাজের ছেলে মাদককারবারিদের মূলহোতা আবাসিক হোটেল সবুজ,আমলা পাড়া গ্রামের ইয়াবা সম্রাট ভোলা, জিল্লু, পায়েল, পঞ্চবটি এলাকার মাদক সম্রাট মাইগ্যা আলম,পুলিশের কথিত সোর্স সানু কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সুমী, ভৈরব-বি -বাড়িয়া জেলার বিভিন্ন থানায় ৩০টি মাদকের মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশের ক্রস ফাইয়ারে নিহত কুখ্যাত মাদক সম্রাট হেলিমের ছোট ভাই পুকুর পাড়ের শাহিন ও ওসমানের স্ত্রী আঁখি, জয়নাল হাজী ওরফে ছাগল্লা হাজীর ছেলে রাজন,পুকুর পাড় এলাকার তোফাজ্জলের স্ত্রী পারভীন,রামশংকরপুরের মৃত গুলু মিয়ার ছেলে ইয়াবা সম্রাট মুরাদ মিয়া, কালিপুর উত্তরপাড়া এলাকার জঙ্গু মিয়ার ছেলে খোকন, গোলাপ মিয়ার ছেলে রোবেল মিয়া, রাজ্জাক মিয়ার ছেলে শুভ, গাঁজা ইয়াবা ব্যবসার সম্রাট বিজয় মিয়া সহ আরো অনেক মাদক কারবারিরা কেবল পৌর শহরে নয় ইউনিয়ন তথা গ্রাম পর্যায়েও ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি করছে। উঠতি বয়সী ছাত্র-যুবকরা চাহিবার মাত্র হাতের কাছে আবাধে পাচ্ছে বিভিন্ন ধরমের মাদক।

এসব মাদক সম্রাটরা ইয়াবা, ফেন্সিডিল গাঁজাসহ নানা ধরনের নেশাজাত দ্রব্য দেদারছে বিক্রী করছে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে। এরা গ্রামের ছোট ছোট হাট -বাজারসহ বিভিন্ন চায়ের দোকান এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলাচলের প্রধান প্রাধান রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাদক বিক্রি করছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ফিল্মি কায়দায় পৌর এলাকায় করছে মাদকদ্রব্য ব্যবসা। এ বিষয়ে, ভৈরব থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) মো.গোলাম মোস্তফা পি পি এম বলেন, বন্দর নগরী ভৈরবে গতমাসে র্র্যব-পুলিশ মিলিয়ে ২৩টি মাদকের মামলা হয়েছে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অভিযান এখনো অব্যহত রয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ীরা যে বা যারাই হোক-কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।কিন্তু আমরা যখনি কোনো ওর্য়াডে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে যায়।তখন স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলরগণ আমাদের সহযোগীতা করে না অথচ তারা এলাকার চিহ্নিত সকল মাদক ব্যবসায়ীদের চিনেন। অনেকে আবার স্বাক্ষী দিতে চায় না। এ মাদক কারবারিদের সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টা না থাকলে আমাদের পক্ষে একা নিমূল করা সম্ভব নয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / সোহানুর রহমান(সোহান)/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image