নবীনগর প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বুড়ি নদীর খরস্রোতা মাঝিকাড়া খালটি অপরিকল্পিত দুটি কালভার্ট নির্মান ও পৌর সভার বর্জ ফেলার কারনে দিনকে দিন বিলিন হওয়ার পথে। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের মাঝিদের নৌকা রাখার জন্য যে জায়গাটির নাম ডাক ছিলো বুড়ি নদীর খরস্রোতা মাঝিকাড়া খালটি, সেই খালটি এখন পৌরসভার ময়লায়-অর্বজনা ও দুটি কালর্ভাটের কারনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। দেখা যায়, মাঝিকাড়া খালের উপর একটি সচল সেতু থাকার পরেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ সেই সেতুটি ভেঙ্গে একটি বক্স কার্ভাট তৈরি করে। যার কারনে খালটির পানি প্রবাহের পথ অনেক সুরু হয়ে যায়। অপর দিকে মাঝিকাড়া খালটির আরেক দিকে জনসাধারনের চলাচলের কথা চিন্তা করে নবীনগর পৌরসভা আরেকটি কালর্ভাট তৈরি করেন। যে কার্ভাটটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের তৈরি করা কার্ভাটের চেয়েও অনেক ছোট। এই দুটি কালর্ভাট নির্মানের ফলে খালের দুই পাড়ই অনেক সুরু হয়ে অনেকের দখলে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও নির্মিত কালর্ভাট দুটির প্রবেশ মুখে নবীনগর পৌর সভার ফেলা ময়লায় খালটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে আছে।
স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান, বুড়ি নদীর খরস্রোতা মাঝিকাড়া খালে ৭-৮ বছর আগেও দেশের দূরদুরান্ত থেকে শতশথ নৌকা আসতো। অনেক স্রোত ছিলো খালটিতে। নবীনগর পৌর সভার ফেলা ময়লা-আর্বজনা ও অপরিকল্পিত দুটি কালর্ভাট নির্মানের কারনে দিনকে দিন খরস্রোতা খালটি বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও কালর্ভাট নিমানের সময় পূর্বের সেতুর ভাঙ্গা পিলার গুলি গত কয়েক বছর যাবত খালের মাঝখানেই পরে রয়েছে। এতে করে খালটিতে পানি প্রবাহ সম্পুন্ন বন্ধ রয়েছে। গত কয়েক বছর যাবত খালটি দিয়ে পানি প্রবাহিত না হওয়ায় এলাকাটির অনেক ফসলি জমি পতিত থাকতে দেখা যাচ্ছে। এই খালটি সচল হলে এলাকাবাসী অনেক উপকৃত হবে।
এবিষয়ে স্থানীয় মেয়র এড. শিব শংকর দাস বলেন, সেতু ভেঙ্গে কালর্ভাট করার কারনে এখানে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে। আমি খালের ভেতরের দিকে কলেজ পাড়া ও মাঝিকাড়া গ্রামের মানুষদের চলাচলের কথা চিন্তা করে একটি কালর্ভাট করে দিয়েছি। এছাড়াও খালটি পুরুরাদ্ধারে উদ্ধারে আমি কাজ করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, নদী-খাল দখল-দুষণ দন্ডনিয় অপরাধ। নবীনগরের খাল দখল ও দুষণের বিরুদ্ধে আমার কাছে কোন লিখিত আসেনি। আমরা এই বিষয়ে খোজ নিবো।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মিঠু সূত্রধর পলাশ/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: