• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কেকের মৃত্যুর কারণ জানা গেলো


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৪ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৫৫ পিএম
হৃদযন্ত্রের বাঁ-দিকের ধমনিতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল
জকৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে

নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় গায়ক  কলকাতায় কনসার্টে গাইতে গিয়েছিলেন বলিউডের জকৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। কিন্তু ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে। শেষকৃত্য শেষে চিরবিদায় জানানো হয় তাকে।

কিন্তু  ‘জিন্দেগি দো পল কি’ থেকে ‘খুদা জানে’র মতো অনেক জনপ্রিয় গানের সেই শিল্পীর হুট করে এভাবে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। সহকর্মীরাও মানতে পারছেন না। স্বাভাবিক মৃত্যুর নয় এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে বলে দাবি অনেকের। অবশেষে জানা গেল কেকের মৃত্যুর কারণ।

চিকিৎসকদের ভাষ্য, হার্টের ব্লকেজের জন্যই মারা গেছেন কেকে। তার হৃদযন্ত্রের বাঁ-দিকের ধমনিতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাচ-গান করতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় তার হার্টের ব্লকেজ বেড়ে যায়। এতে আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ায় কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই নিভে যায় তার জীবনপ্রদীপ।

এনডিটিভি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানায়, শরীর খারাপ নিয়েই কলকাতায় পা রেখেছিলেন কেকে। টানা দুই দিনের আয়োজনে গাওয়ার চুক্তিতে এসেছিলেন তিনি। তবে নিজের হার্টের ব্লকেজের কথা কাউকে জানাননি এই গায়ক। এমনকি তার ম্যানেজার রীতেশ ভাটকেও না।

কলকাতায় স্বামীর মরদেহ নিতে এসে কেকের স্ত্রী জ্যোতিলক্ষ্মী কৃষ্ণা বলেছেন, ‘মুম্বাই ছাড়ার আগে বারবার বলেছিল, শরীরটা ভালো নেই। আয়োজকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। তাই শেষ মুহূর্তে পারফর্ম না করে পারছি না। ওর (কেকে) হাতে ব্যথা ছিল। তখনো বুঝতে পারিনি, ওর শরীরে বড় রোগ বাসা বেঁধেছে।’

অন্যদিকে কেকের ম্যানেজার রীতেশ ভাট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচণ্ড গরম ছিল। তিনি (কেকে) বারবার পানি খাচ্ছিলেন। টানা দেড় ঘণ্টা হাসিমুখে গেয়েছেন, দর্শকদের আবদার রক্ষা করেছেন। সেখান থেকে হোটেলে ফিরলে লবিতে ভক্তরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। কেকে তাদের উদ্দেশে বলেন, শরীরটা ভালো লাগছে না। এরপর রুমে চলে যান তারা।

রুমে ঢুকে সোফায় বসে বমি করেন কেকে। এরপর সেখানেই মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীর প্রচন্ড ভারী হয়ে যাওয়ায় রীতেশ একা তাকে উঠাতে পারছিলেন না। হোটেলকর্মীদের সাহায্যে গায়ককে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান তারা। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নব্বই দশক থেকে শুরু করে বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকে। তার জীবনের শেষ গানের স্মৃতি হয়ে রইলো কলকাতা।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image