
নিউজ ডেস্ক : এক দফা কঠোর আন্দোলনের কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বিএনপি। আরও কিছুদিন নতুন জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে দলটি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।
এক দিনের বিরতি দিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলনে অভিন্ন কৌশলে রাজপথের শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় দলটি। মহাসমাবেশ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দলটি। আপাতত আরও জনসম্পৃক্ত সাধারণ সভা, সমাবেশ-বিক্ষোভ, মানববন্ধন, পদযাত্রার মতো কর্মসূচি দিয়ে নেতাকর্মীকে আরও চাঙ্গা করে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে চায় তারা। পাশাপাশি দেশি-বিদেশিদের জনমতও পক্ষে রাখতে চাচ্ছেন দলের হাইকমান্ড। এমনকি ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীর উপস্থিতি কম হওয়ায় দায়িত্বে থাকা নেতাদের নামের তালিকাও তৈরি করছে দলটি।
জানা যায়, বিগত কয়েক দিনের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ও দায়িত্বশীল নেতাদের ভূমিকারও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন দলের শীর্ষ নেতারা। মহাসমাবেশে লক্ষাধিক লোকসমাগম ঘটলেও পরের দিন শনিবার ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কম। ঢিলেঢালা, গরহাজির ও অনুপস্থিত নেতাদের সম্পর্কে দলের ভেতর চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নিষ্ক্রিয় আর ব্যর্থ নেতাদের তালিকা করে তাদের চিহ্নিত করার তাগাদাও দেওয়া হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচিকে আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট বিবেচনা করা হলেও গুটিকয়েক নেতার অবহেলা আর ব্যর্থতায় তা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এ ছাড়া কর্মসূচিতে নেতাদের সমন্বয়হীনতাও ভুগিয়েছে নেতাকর্মীকে। এসব কাটিয়ে উঠে তার পর এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, তারা একটি শক্ত ফ্যাসিবাদী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। এটা এত সহজ বিষয় নয়। অনেক রক্ত ঝরাতে হচ্ছে, অনেক প্রতিরোধ মোকাবিলা করতে হচ্ছে নেতাকর্মীকে। এটা একটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো। সেখানে কৌশলগত কারণে কখনও সামনে যেতে হয়, আবার কখনও পিছিয়েও আসতে হয়। দিন তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না। তবে তারা এক দফার আন্দোলন সফল করতে খুব দ্রুত সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: