নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই মাসের শুরুতে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল। আন্দোলনটি দ্রুতই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রূপ নেয়, যার ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির কারণে ১৭ জুলাই থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে অনেক আহত এবং অচেতন ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা এদের মধ্যে ১৯১ জনকে মৃত ঘোষণা করেন, এবং এই সময়ে প্রায় ১৮৭২ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নেন।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, ৭ নম্বর কক্ষের ইসিজি বিভাগ এবং মর্গের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢামেকে আসার পর যাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক তিনজন, পুলিশ সদস্য ২৪ জন, আনসার সদস্য তিনজন, র্যাব সদস্য দুইজন, বিজিবি একজন, শিক্ষার্থী ২৯ জন, ব্যবসায়ী ১৮ জন, চাকরিজীবী ১৩ জন, শ্রমিক ৯ জন, অজ্ঞাতনামা ৯ জন, কর্মচারী ২৪ জন, রিকশা/ভ্যান চালক ৮ জন, ড্রাইভার চারজন এবং অজ্ঞাতনামা ৪৪ জন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ১০ বছরের কম বয়সী, ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১৬ জন, ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১০৭ জন এবং ৩১ বছরের বেশি বয়সী ৬৫ জন।
নিহরা হলেন– শাহজাহান (২৫),সবুজ আলী(২৫), জাফর হাওলাদার (৪৫), মেহেদী হাসান (২৬), নাজমুল (৩৪), ওয়াসিম শেখ (৩৮), আব্দুল্লাহ (২০),পারভেজ (২৩),জিহাদ হাসান (২২), নাইম হাওলাদার (২০), ইব্রাহিম (১৩),আরিফ (১৮), রবিউল ইসলাম (২৭), শাহজামাল (২৬), মো. গিয়াসউদ্দিন (৫৮), রাব্বী আলম পাভেল (২৫) ,মো. শুভ (১৯),জুয়েল শেখ (২২), নবীন তালুকদার (৪০), কামাল (৪০), মোবারক (৩৫), রনি আলামিন (২৩), শাকিল (২২), কবির(৩৪), তাহির জামাল প্রিয় (২৭), মুক্তাদির (৪৮),গনি শেখ (৪৫), ওমর ফারুক (২৩), হাসান (১৮), আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫), মোবারক (১৩), টিটু (৩৩), ওয়াসিম (২৫), ইফতি(১৬), সোহাগ(১৯), খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ (১৮), দুলাল (৪০), মাসুদ (৪০), রাকিব (২৩),আকরাম খান রাব্বী (২৮), আব্দুল্লাহ আল আবীর (২৪),আব্দুল আহাদ (৪),আলী হোসেন (৪০), ইমাম হোসেন তাইম (১৯),মারুফ হোসেন (২০), ইমন (২৬), মোশারফ (৩৮), রাজিব হোসেন (৩০), শাহরিয়া বিন মতিন (১৯), সোহাগ (২৫), জাকির হোসেন(৩৬), আহাদুল ( ১৫), মেহেদী(২০), হোসাইন (১০), জিসান(২০), আরিফ (২৮), ইউসুফ মিয়া (৩৫),কামরুল ইসলাম (১৭), হান্নান (২৯), তৌফিদুল ইসলাম (৪৫), ইউনুস আলী (১৬), হাবিব(৪৫), শাকিল (২০),ইমরান (১৬),আব্দুল লতিফ (৪০), মনির হোসেন (২৮),রাজু (৩৬),আজিজুল মিয়া (২২), রাসেল(২০), গনি মিয়া(৩৫), অজ্ঞাত-(৫০),ইমরান (২১), অজ্ঞাত(৪০), মনির হোসেন (৫৬), অজ্ঞাত (৩৫), শরীফ (৩০),অজ্ঞাত (৩০), শান্ত (২২), হৃদয় চন্দ্র তরুয়া (২৩), নাসির হোসেন (৩২), অজ্ঞাত (২৫), অজ্ঞাত (২৮) ,শাহজাহান (২২),রিয়া গোপ (৬), সাজিদুর রহমান (২১), জাকির হোসেন (২৯), জামান মিয়া (১৭),সোহেল মিয়া (২৭), ইমতিয়াজ (২০),মাইনুদ্দিন (২৪),ইয়ামিন চৌধুরী (১৮) আব্দুর রহমান (৪৪),ইমন(১৭),আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী (২২),মো. তাহিদুল ইসলাম (২২),অজ্ঞাত (৬৫),রমিজ উদ্দিন(২৮), অজ্ঞাত(২৫), রিয়াজুদ্দৌলা(৩২), অজ্ঞাত(১৪), রেজাউল তালুকদার (৩৬),মো. সবুজ (২১), রাসেল(২৫), অজ্ঞাত(২৭), ইমরান (২৫),আব্দুর রহমান (২২), মানিক মিয়া (৩০), রাকিব হোসেন(২৪),আজমত আলী (৩৫),ইসহাক (৫২),রাসেল(২৫),অজ্ঞাত যুবক (২৭),ইমরান (২৫) ,আব্দুর রহমান (২২),মানিক মিয়া (৩০),রাকিব হোসেন (২৪)আজমত আলী (৩৫),আবু ইসহাক (৫২),সাইফুল ইসলাম ওমর (২৩),শাকিল (২১),অজ্ঞাত যুবক (২৮),শাহীন (২৪), ইয়াসিন (২৪), সোহেল (২২),অজ্ঞাত (২৪), অজ্ঞাত(৪০),আব্দুল নুর (৩৫),অজ্ঞাত যুবক (২৫),অজ্ঞাত যুবক (৩০),অজ্ঞাত যুবক (২২) , ইসমাইল রাব্বি (২২), রনি (১৭),অজ্ঞাত যুবক (২০),অজ্ঞাত (৪০), হামিদুর রহমান (২২),অজ্ঞাত (২০), অজ্ঞাত (৩৫),অজ্ঞাত (২২),অজ্ঞাত (২৮),অজ্ঞাত (৩২),অজ্ঞাত (৩০),অজ্ঞাত (২০), অজ্ঞাত (২৬),শাওন (১৫),আবু রায়হান (২১), অজ্ঞাত (৩০),অজ্ঞাত (২৫),আব্দুল হান্নান (৫০),অজ্ঞাত (২৪),মনোয়ার (৫৫), মাহফুজুর রহমান (২৪) আশরাফুল হাওলাদার বয়স (২০),অজ্ঞাত(২২), হাফেজ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান( ২৬),অজ্ঞাত (পুলিশ) বয়স ৪০,অজ্ঞাত(৩০), আনোয়ার হোসেন বয়স ৫৭ (পুলিশ),রাব্বি (২১),আব্দুল আলিম বয়স ৪৬ (পুলিশ), অজ্ঞাত (৩৫),অজ্ঞাত ৩০ (পুলিশ),রাসেল মাহমুদ (২১– পুলিশ),মনির (৪৫) , রাসেল বয়স ৪৪ (পুলিশ),অজ্ঞাত( ৩৮),অজ্ঞাত( ৩২),অজ্ঞাত(৪০),আসিব(১৬), পুলিশ সদস্য সুলতান (৩০), র্যাব সদস্য হাসমত আলী (৩৫),নুর আলম (২১), র্যাব সদস্য আনোয়ার (৩৬), বিজিবি সদস্য মো. আব্দুল আলিম বয়স (৩৯),সঞ্জয় কুমার দাস বয়স ৩৯ (পুলিশ), অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য (৩২),শাওন(২২), অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য ( ৫০),রুবেল পুলিশ সদস্য (২৫),মনির(৪৫),বাপ্পি আহম্মেদ (৩৫),পুলিশ সদস্য আব্দুল মজিদ (৪৫), পুলিশ সদস্য সুজন চন্দ্র দে (৪১), পুলিশ সদস্য ফিরোজ হোসেন (৪৮),পুলিশ সদস্য আবু হাসনাত রনি (২৪),পুলিশ সদস্য খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার (৪৯),পুলিশ সদস্য শাহিদুল আলম (৪৮),পুলিশ সদস্য রেজাউল করিম (৪৮),আনসার সদস্য আবু জাফর (৪৬),অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য (৩২),অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য (৪০), অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য (৩২),অজ্ঞাত আনসার সদস্য (৩২)।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া ঢাকানিউজ ২৪কে নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসেন অনেকে। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা ১৯১ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’
তিনি আরও জানান, ‘বর্তমানে অনেক আহত ব্যক্তি ঢামেক হাসপাতালের ৩০৩, ১০১ ও ১০২ নম্বর ওয়ার্ড এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর পুলিশকে জানিয়েছি।’
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: