• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মাটিরাঙ্গায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৭ পিএম
মাটিরাঙ্গায়
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে

রিপন সরকার, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে  চারটি ইউনিয়নে বৈধতার অন্তরালে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে বিদ্যুত সংযোগ  দেয়ায় সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে বৈধ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে এবং ন্যায্য বিদ্যুৎ প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

জানা গেছে মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি, তাইন্দং, বর্ণাল এবং আমতলী ইউনিয়ন পানছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মেনেজ করে অবৈধভাবে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বাণিজ্য করছে স্থানীয় একটি চক্র। গ্রাহকদের জিম্মি করে  চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। একটি বৈধ মিটারের সংযোগ থেকে সাব-মিটার দিয়ে প্রায় সহস্রাধিক পরিবারকে দেওয়া হয়েছে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ। ব্যাবহার করা হয়েছে গাছ ও বাঁশ। আবার এক মিটার থেকে এক-দুই কিঃমিঃ পর্যন্ত তার টেনে এভাবে শত শত অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে এ সকল সংযোগ দেয়ার জন্য গ্রাহকদের নিকট থেকে সংযোগ ফি বাবদ নেয়া হয়েছে ৭-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার পাকা খুঁটি দেয়ার কথা বলেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এ চক্রটির প্রতি।  যা সরে জমিনে তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে। 

এ সকল  সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষকে মেনেজ করে দীর্ঘ বছর ধরে চক্রটি এ বাণিজ্য করে আসছে। ঘরপ্রতি বিদ্যুতের গ্রাহক থেকে আদায় করা হচ্ছে সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রেট। তাছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগে ব্যাবহার করা হচ্ছে  ফলজ  বনজ গাছ এবং বাঁশ। ফলে যে কোন মূহুর্ত ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।

তবলছড়ির বিরাশি টিলা হাফেজিয়া নুরানী মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কায়ুম সরকার বলেন আমরা নতুন দায়িত্ব নিয়ে দেখি পূর্বের কমিটি মাদ্রাসার মিটার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন দেয়া হয়েছে এ নিয়ে কয়েক দফা মিটিং করা হয়েছে, গ্রাহকদেরকে লাইন সরিয়ে নিতে বলা হলে আমাদের উপর রাগ ও হুমকি  দিয়ে বলে সংযোগ লাইন নিতে অনেক টাকা খরচ করেছি, আমাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। 

গ্রাহক আলী আকবর বলেন, আমরা বেশ কয়েকজনে মিটার প্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ করে বাঁশ দিয়ে প্রায় ১কিঃমিঃ দুর থেকে চিকন তার দিয়ে বিদ্যুৎ এনেছি। সাবমিটারে বিদ্যুৎ  বিল দেয়া হয়। তবে দুএকটি বাল্ব ছাড়া কিছু চালানো যায়না। আমি এই র্দুনিতী বাজদের বিচার কামনা করছি। 

 পানছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী সুভাষ কান্তি চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার রাঙ্গামাটি (কাপ্তাই প্রতিনিধি) ও আরো কয়েকটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে  বলেন পাহাড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কোন নিয়ম নেই, আর কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে চলে যান তিনি। 

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান সরকারি নিয়মের বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই তবে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image