• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ১৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সুইস ব্যাংকে তারেকের অ্যাকাউন্টে দেড় হাজার কোটি টাকা 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:০৪ পিএম
তারেকের অ্যাকাউন্টে টাকা 
সুইস ব্যাংক

নিউজ ডেস্ক : সুইস ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে, সাম্প্রতিক সময়ে তার তালিকা নিয়ে হুলুস্থুল চলছে। সেই তালিকার বাংলাদেশিদের নাম এখনো প্রকাশ করা না হলেও যুক্তরাজ্য ঠিকই তথ্য পেয়েছে। যারা রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ব্রিটেনে রয়েছে, সুইজারল্যান্ডের কাছে তাদের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। 

সেই তথ্যে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের ১৪৭৫ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা হয়েছে। 

এই টাকাগুলো জমা হয়েছে ২০০১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে গচ্ছিত এই টাকাগুলো কোন পথে সুইজারল্যান্ডে এসেছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত বিবরণ জানানো হয়েছে যুক্তরাজ্যকে।

সংশ্লিষ্ট একটি গোপন সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার তদন্ত শুরু করে। বিশেষ করে লন্ডনে বসে কোনোরকম বৈধ আয়ের উৎস ছাড়াই তিনি যে জীবনযাপন করছেন, এ নিয়ে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হয়। এই তদন্তের একপর্যায়ে তারেক জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা। সেই জিজ্ঞাসাবাদে তারেক জিয়া দাবি করেন, তার টাকার একটি বড় অংশ আসে ক্যাসিনো থেকে। তিনি নিয়মিত জুয়া খেলেন। সেখান থেকে তিনি অর্থ উপার্জন করেন।

দ্বিতীয় অর্থ উপার্জনের উপায় হলো অনুদান। বিভিন্ন মহল তাকে অনুদান দেয়। এই প্রেক্ষিতে তারেক জিয়া দাবি করেন যে, শুধু যুক্তরাজ্যে নয়, যুক্তরাজ্যের বাইরেও তার একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও তিনি যুক্তরাজ্যে টাকা নিয়ে আসেন। 

তারেক জিয়া ২০১৭ সালে ব্রিটেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ব্রিটিশ নিয়ম অনুযায়ী একজন ১০ বছর বিরতিহীনভাবে যুক্তরাজ্যে থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই বিবেচনা থেকে তারেক জিয়া আবেদন করেন। যদিও তার নাগরিকত্বের আবেদন এখন পর্যন্ত গৃহীত হয়নি। 

কিন্তু তারেক জিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকায় ব্রিটিশ সরকার তারেক জিয়াকে অন্যদেশে স্থানান্তর করেনি। বরং লন্ডনেই তাকে রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই বিবেচনা থেকে তারেক জিয়া এখন লন্ডনে আছেন। এই সময় ব্রিটিশ সরকার তার বিভিন্ন দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অর্থের সম্পর্কে জানতে চায়। সে সময় তারেক জিয়া বিশ্বের পাঁচটি দেশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে বলে লিখিত হলফনামায় জানিয়েছেন। 

যে পাঁচটি দেশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং সুইজারল্যান্ড।

সুইজারল্যান্ডে ২০০১ সালে তারেক জিয়া প্রথম একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট করে। এই যৌথ অ্যাকাউন্টে তারেক জিয়ার সঙ্গে আরেকজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ছিলেন। তিনি হলেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।

গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০০২ সালে সুইস ব্যাংক থেকে একটি ডেবিট কার্ড গ্রহণ করেন এবং একই সময় তারেক জিয়ার নামে একটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড গ্রহণ করা হয়। 

২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে সুজারল্যান্ডের সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে তারেক জিয়ার ব্যাংক হিসাবে স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। এরপর ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সুইস ব্যাংকে তারেক জিয়ার কোনো অর্থ জমা হয়নি। 

এই সময় তারেক জিয়া সুইস ব্যাংক থেকে বেশ কিছু টাকা লন্ডনে স্থানান্তর করেন। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারেক জিয়ার সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকা লন্ডনের ব্যাংকে জমা হয়। একই সময়ে লন্ডনের আরেকটি ব্যাংকে ৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর করেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, তারেক জিয়া ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখছেন এবং সুইস ব্যাংক থেকে টাকা লন্ডনের বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এখন সুইস ব্যাংকে তার টাকার পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।

ধারণা করা হচ্ছে যে, নির্বাচনে মনোনয়ন কমিটি গঠন, মনোনয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে তারেক জিয়া টাকাগুলো পান। এই টাকাগুলো মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যায় এবং সেখান থেকে এটি সুইস ব্যাংকে জমা হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image