• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিরামপুরে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৫ এএম
ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ 
আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর

বিরামপুর প্রতিনিধি, দিনাজপুর: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর প্রদানে দিওড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ ওঠেছে। 

১৩ আগষ্ট বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়ন ভূক্ত আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর প্রদানের বিনিময়ে ভূক্তভোগীদের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগের ভিত্তিতে দিওড় দক্ষিণ পাড়া বিলের পাড় সংলগ্ন আশ্রায়ন প্রকল্প পর্যবেক্ষন চলমান অবস্থায় ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল উক্ত আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে দিওড় বটতলীর নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলামের নিকট থেকে ২০,০০০/- বিশ হাজার টাকা) গ্রহণ করেও ঘর প্রদান করেন নাই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল অর্থ প্রদান পূর্বক পক্ষান্তরে অর্থ গ্রহণ করার পরও তাকে ঘর প্রদান করেন নাই বলে সে অভিযোগ করেন। এবিষয়ে ইউনিয়ন ওয়ার্ড সদস্য আমিনুল ইসলাম 

এর নিকট জানতে চাইলে তা বলেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল একজন খারাপ মানুষ। সে প্রথম বারে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অত্র ইউনিয়নে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর গুলোতে বেশ কিন্তু অর্থের লেনদেন করেছে। এছাড়াও ভাতাভোগীর প্রায় সকল প্রকার ভাতা ভোগীর কার্ড তৈরিতে জনগণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময় করেছেন বলে জানান। ঘর না পাওয়ায় ইউনিয়নের কোঁচগ্রাম মহল্লার ভূক্তভোগী ইউনুস আলীর ছেলে ঈসমাইল হোসেন জানান আমি একজন গরীব অসহায় মানুষ আমার ঘরবাড়ি নাই। আমি আব্দুল মালেক মন্ডল ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট একটি ঘরের জন্য আবেদন করলে তিনি আমার নিকট ৬,০০০/ (ছয় হাজার টাকা) চান। আমি এবিষয়ে অনেক আকুতি মিনতি করি। একপর্যায়ে সে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে ৩,০০০/ (তিন হাজার টাকা) গ্রহণ করেন। তারপরও ঘর দিতে তালবাহানা করলে ভুক্তভোগী জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপির নিকট উক্ত ঘটনাটি জানালে তিনি টাকা দিতে না করে দেন এবং দেওয়া টাকা ৩ হাজার ফেরত নিতে বলেন।

তিনি আরও বলেন আপনার বাড়ি হবে বলে জানান। তদানুসারে ভূক্তভোগী ঘর পান বলে ভূক্তভোগী জানান। তথ্যানুযায়ি ইউনিয়নের দিওড় দক্ষিণ পাড়া মহল্লায় সরকারি ভাবে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর রয়েছে।

উক্ত স্হানে পূর্বে থেকে গরীব ও অসহায় ভূমিহীন সোবহান আলীর পুত্র হেলাল উদ্দিন এবং মিজানুর রহমান ২ জনের তাদের নিজ অর্থের বিনিময়ে দালান বাড়ি করেছেন। উক্ত স্হানে আশ্রায়নের ঘর নির্মান হবে সে ক্ষেত্রে ২টি বাড়ি তৈরী রয়েছে। যেহেতু উক্ত জায়গায় আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ হবে সেই ক্ষেত্রে উক্ত ঘর ভেঙে দিতে হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল। আর যদি উক্ত ঘর না ভেঙে দেওয়া হয় সেজন্য ১ লক্ষ টাকার দাবি করেন আব্দুল মালেক মন্ডল।

তিনি আরও বলেন,এই অর্থ স্হানীয় সাংবাদিক,তৌহসিলদার,ইউএনও কে মেনেছ করতে হবে। অবশেষে স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বর আমিনুর রহমান সহ একপর্যায়ে ৭০,০০০/(সত্তর হাজার টাকা) চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল কে প্রদান করেন। এবিযয়ে হেলালের স্ত্রী মুঠোফনে কথা অর্থ প্রদানের কথা স্বীকার করেন। পক্ষান্তরে মোছাঃ আবেদা বেগম স্বামী নজমাল বিজুলহাট এর নিকট থেকে ভাতার কার্ড করার জন্য ৬,০০০/ ( ছয় হাজার টাকা) দাবি করেন। উক্ত ভূক্তভোগী ৩,০০০/ -(তিন হাজার টাকা) প্রদান করেও ভাতার কার্ড পায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বক্তব্য ছাড়েন বলে ভাইরাল হয়েছে।

এবিষয়ে ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন। উক্ত বিষয় গুলো নিয়ে দিওড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উক্ত এবিষয়ে কিছু জানিনা বলে ফোন কেটে দেন। এবিষয়ে ইউপি স্হায়ী বাসিন্দা গনের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন,আব্দুল মালেক মন্ডল প্রথম বারের মত ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ১ বৎসর অতিবাহিত না হতেই তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ওঠেছে। ত্রাণের চালের অনিয়ম,রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ,ভাতার কার্ড তৈরির অভিযোগ ও আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ সহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠেছে। এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সূ-নজরে উক্ত বিষয় গুলো সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / রেজওয়ান আলী/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image