
মো.জহিরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক রাতে ৮ দোকান চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৩১ আগস্ট দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকার দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুরি আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের উকিল বাড়ী রোডের ওয়াটার লিলি ফুড স্টোর, সোনামিয়া রোডের দেবনাথ মেডিকেল হল, রুপসপুর দূর্গাবাড়ী সড়কের প্রীতি এন্ড প্রিয়া ভেরাইটিজ স্টোর, আর কে মিশন রোডের সি লেডিস টেইলার্স, কলেজ রোডের ছাদ ভ্যারাইটিজ স্টোর, পূরবী স্টোর, আয়ুস ডিজিটাল স্টুডিও ও সুহাসিনী ফার্মেসীতে এই চুরি সংঘটিত হয়। চুরির ঘটনায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পরিদর্শন করেছেন। গত ২৮ আগষ্ট মাসের উত্তর ভাড়াউড়া এলাকায় নুরুজ্জামানের ভাড়া থাকা বাসাতে আর ৮ টার দিকে কে বা কারা বারান্দার গ্রিলির ভেঙ্গে বাসাতে চুরি করেছে।তখন বাসাতে কেহ ছিল না।
এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দিন দিন বেড়ে চলছে বাসা বাড়ি ও দোকানে চুরি হচ্ছে।এই নিয়ে শহরের আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
শ্রীমঙ্গলে একই রাতে আটটি দোকান চুরির ঘটনায় শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ ঘঠিকার সময় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকল ব্যবসায়ীবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে।
কলেজ রোডের ছাদ ভ্যারাইটিজ স্টোর এর মালিক মো. তুহিন চৌধুরী বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত ৯টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় যাই। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমার পাশের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে দোকান খুলে দেখি আমার দোকানও চুরি হয়েছে। চোরেরা ক্যাশ থেকে নগদ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে গেছে। রুপসপুর দূর্গাবাড়ী প্রীতি এন্ড প্রিয়া ভেরাইটিজ স্টোরের প্রোপ্রাইটর লিটন দেব বলেন, এই দোকানের উপর আমার সংসার নির্ভরশীল। চোরেরা দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ক্যাশ থেকে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন, শহরে একরাতে ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘চুরি আতংক’ বিরাজ করছে।
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. কামাল হোসেন, শ্রীমঙ্গল একটি শান্ত শহর। হঠাৎ করে এই শান্ত শহর কেন অশান্ত হয়ে উঠলো? ঘুমিয়ে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা কিভাবে আবার জেগে উঠলো? এমন প্রশ্ন রাখেন।এক রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণ চুরির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এদের দ্রুত চিহ্নিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) নয়ন কারকুন বলেন, এ ঘটনায় বিভিন্ন সড়কের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।প্রাপ্ত ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।খুব তাড়াতাড়ি দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করার হবে বলে তিনি জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মো.জহিরুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন: