
নিউজ ডেস্ক : শক্তিশালী টর্নেডো ও বজ্রঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিসিসিপিতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বিবিসি জানায়, টর্নেডোটি ১০০ মাইলের বেশি পথ চলেছে এবং চলার পথে তার তাণ্ডবের চিহ্ন রেখে গেছে। এর আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘরের নিচে আরো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পশ্চিম মিসিসিপির ছোট্ট শহর সিলভার সিটিতে চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খুঁজে পেতে তল্লাশি ও উদ্ধারকারীদের যৌথ দল কাজ করছে। শহরটির মোট বাসিন্দা মাত্র ২০০ জন।
আরেক শহর রোলিং ফর্কেও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানা গেছে। এক হাজার ৭০০ বাসিন্দার এই শহর টর্নেডোর আঘাতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
রোলিং ফর্কের এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার শহর শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এখনো টিকে আছি। আমরা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবো।”
এই শহরে ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আরো অনেকে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকা পড়ে আছেন।
ব্রান্ডি শোওয়াহ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি আগে কখনো এতটা তাণ্ডব দেখিনি। আমার বন্ধুর বাড়ি ধসে পড়ে এবং সে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছিল। আমরা তাকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছি।
এই নারী জানান, তার দাদীর বাড়িটি ঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেশী আরো কয়েকটি বাড়ি ধসে গেছে। টর্নেডোর আঘাতে গাছ পড়ে বা বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মারাত্মক ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ছিল ভারি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এক একটি শিলার আকার গল্ফ বলের সমান ছিল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: