নিউজ ডেস্ক: ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় এক কিশোর, এক প্রবাসীসহ ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এসআই সঞ্জয় গুহ। তদন্তে ২০ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও শনাক্ত করতে না পারায় চারজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নগরের ২ নম্বর গেট ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্টেম্ফারণ ঘটে। এতে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পথচারী আহত হন। ঘটনার পরদিন বিশ্বব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠীর অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছিল- জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। পরবর্তী সময়ে হামলাকারীদের ছবিও প্রকাশিত হয়। তবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তাদের দাবি- এই হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন সবই করেছে নব্য জেএমবি।
অভিযুক্তরা হলো- মো. সাইফুল্লাহ, মো. এমরান, আবু সালেহ, আলাউদ্দিন, মহিদুল আলম, জহির উদ্দিন, মঈনউদ্দিন, রহমত উল্লাহ, সাহেদ হোসেন, মো. সেলিম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুল কাইয়ুম, কায়সার উদ্দিন, মোরশেদুল আলম ও মো. শাহজাহান। এদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুবাই প্রবাসী মো. শাহজাহান, কায়সার ও মোরশেদ পলাতক।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন সেলিম, আবু সাদেকসহ আরও তিন জঙ্গি নগরের পূর্ব নাসিরাবাদের আপন নিবাস এলাকার গিরি নিবাস নামে একটি ভবনে এমরানের বাসায় আসে। ওই দিন জুমার নামাজের পর কয়েকটি এলাকা রেকি করে তারা। এক পর্যায়ে ২ নম্বর গেট এলাকার পুলিশ বপ হামলার জন্য নির্দিষ্ট করে। আইইডি বোমার বিস্টেম্ফারণ কীভাবে দূর থেকে রিমোট দিয়ে ঘটাতে হবে, তা প্রশিক্ষণ দিয়ে রিমোটটি এমরানকে দিয়ে যায় সেলিম। পরে পুলিশ সদস্যদের অগোচরে আইইডি পুলিশ বক্সে রেখে যায় আবু সাদেক। এমরান ভয়ে বিস্টেম্ফারণ না ঘটিয়ে রিমোটটি আপন নিবাসের সামনের ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।
সাইফুল্লাহ এসে এমরানের সহায়তায় ডাস্টবিন থেকে রিমোটটি সংগ্রহ করে। পুলিশ বক্সের অদূরে যাত্রী ছাউনির পাশে দাঁড়িয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিমোট দিয়ে বিস্টেম্ফারণ ঘটায় সাইফুল্লাহ। এ ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। গাজীপুর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: