ডেস্ক রিপোর্টার: দেশে আবারও চরম অস্থির ভোজ্যতেলের বাজার। গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্বে পাম অয়েলের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই দেশের বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম।
গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম প্রতি মণ ৭০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রমজান শুরুর আগে লাগামহীন ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালায়।
উৎপাদন এবং সরবরাহে কঠোর মনিটরিংয়ে মিলে মিলে চালানো হয় অভিযান। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট কমানোসহ ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রিমূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এভাবে রমজানের এ পর্যন্ত এই নিত্যপণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলে আসছিল।
কিন্তু রোজার শেষ ভাগে এসে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৯ শতাংশ পাম অয়েলের চাহিদা মেটানো রফতানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স আব্বাস সওদাগর স্টোরের ম্যানেজার বলেন, ‘বাজারে কোনো তেল নেই। আমরা একজন আরেকজনের থেকে তেল কিনে বেচাকেনা করছি। সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি মণ পাম অয়েলে ৭০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহম্মদ বলেন, ‘সামনে তেলের সংকট সৃষ্টি হতে পারে। ব্যবসায়ীদের অন্যান্য জায়গা থেকে আমদানিতে উদ্বুদ্ধ করা গেলে সংকট কমে আসবে।’
সুযোগ বুঝে মিল মালিকরাও সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ২৫০ টাকা। আর প্রতি মণ সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৭৫০ টাকায়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: