• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ব্যবসার লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি কমাতে হবে: এফবিসিসিআই


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৭ এএম
বিডা যৌথভাবে এই সেমিনারে
এফবিসিসিআই ও বিডার যৌথ সেমিনার

নিউজ ডেস্ক:   প্রতিবছর ব্যবসা-সংক্রান্ত বিভিন্ন লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ জন্য তাদের বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। এ ছাড়া সরকারি কয়েকটি সংস্থা থেকে লাইসেন্স বা সনদ নিতে কেটে যায় মাসের পর মাস। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফির বহুগুণ বেশি অর্থ দিতে বাধ্য হন তারা। এদিকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চালু করা ওয়ানস্টপ সার্ভিস (ওএসএস) থেকেও যথাযথভাবে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এক সেমিনারে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা। বিডার ওয়ানস্টপ সার্ভিস সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের জানাতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও বিডা যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ৮-১০ জায়গা থেকে পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ার সেফটি লাইসেন্সসহ বিভিন্ন লাইসেন্স বা সনদ নিতে হয়। এমন কয়েকটি সংস্থা থেকে বা দপ্তর থেকে সনদ নিতে হয়, যাদের তদারকি করার মতো সক্ষমতাই নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমন্বয়হীনতা, অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এসব লাইসেন্স বা সনদ একটি সংস্থার কাছ থেকে ইস্যু করা উচিত।

ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বা সনদ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বন্ধের দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, একাধিক সংস্থার কাছ থেকে জটিল প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন লাইন্সেন্স ও সনদ সংগ্রহ এবং বছর বছর নবায়নের কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার জন্য ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পর ১৩ লাখ টাকা চান সংশ্নিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। পরে ৬০০ টাকার ওই লাইসেন্স ৫০ হাজার টাকায় নিতে হয়েছে। এমন সমস্যা পদে পদে মোকাবিলা করতে হয় ব্যবসায়ীদের।

তিনি বলেন, পুরো ইপিজেড বন্ডেড হলেও এখানকার কারখানাগুলোকে বন্ড লাইসেন্স নিতে হচ্ছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। সেমিনারে বিডার ওএসএসের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জীবনকৃষ্ণ সাহা রায়।

তিনি জানান, বিডার ওএসএসে সেবা দিতে ৩৯টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আরও ১১টির সঙ্গে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে ৫৮টি সেবা ওএসএসের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে ১৮টি বিডার নিজস্ব সেবা, বাকিগুলো অন্যান্য সংস্থার।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এফবিসিসিআইর পরিচালক মো. নাসের, সাবেক পরিচালক এস এম কামাল উদ্দীন, বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ, এফবিসিসিআইর উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদল্লাহ, প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবিদ খানসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, বিডার ওএসএসের সঙ্গে যুক্ত থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসা করার খরচ কমাতে হবে। তাদের অভিযোগ, আশুলিয়া, গাজীপুরে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য এক লাখ টাকার ওপরে দিতে হয়। একটি ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য প্রতি বছর কেন লাখ লাখ টাকা দিতে হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সুবিধা না পেলে বিদেশিরাও বিনিয়োগ করতে আসবেন না।

এসব অভিযোগ-অনুযোগের পর বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যবসা সহজ করতে বিডা যেসব ওএসএস সেবা কার্যক্রম যুক্ত করেছে, সেসব সেবা নিলে ব্যবসায়ীদের অনেক উদ্বেগ কমে যাবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা চালু হওয়া সব সেবা নিচ্ছেন না। অথচ প্রচুুর অর্থ ব্যয় হয়েছে এসব সেবা দেওয়ার পদ্ধতি তৈরি করতে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ হাজার ৪৫২টি সেবা দিয়েছে বিডা। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেওয়া হয়েছে। ওএসএসের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ব্যবসায়ীরা সেবা নিতে আসছেন না। এমনকি অনেক ব্যবসায়ী ওএসএস সম্পর্কে জানেনই না।

লাইসেন্স বা সনদ পেতে কোনো সংস্থার কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত অর্থ না দিয়ে সেসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিডার চেয়ারম্যান বলেন, ৫৫০ টাকার লাইসেন্স ফি ৫০ হাজার টাকা ব্যবসায়ীরা দিলেও সরকারের খাতায় সেই অর্থ যাচ্ছে না। এটা অনৈতিকভাবে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image