
নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আহাম্মদ হোসেন নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর বাড়ি। এরই মধ্যে গাছের সঙ্গে বাঁধা মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে যাওয়ায় তুমুল আলোচনা তৈরি হয়েছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনায় পুলিশ নাহিদা সুলতানা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে হাটহাজারীর ইউএনও সাহিদুল আলম ন্যায়বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, আহম্মদ হোসেন গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। দুই বছর ধরে তাঁর সঙ্গে জমি নিয়ে প্রতিবেশী লোকমান হোসেনের বিরোধ চলছিল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লোকমান তাঁর লোকজন নিয়ে আহম্মদ হোসেনের জমি দখল করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। বাধা দিলে লোকমানের লোকেরা আহম্মদ হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। একপর্যায়ে আহম্মদ হোসেনের মেয়ে মাজেদা বেগম জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু পুলিশ আসার খবরে আহম্মদ হোসেনকে মুক্ত করে দিয়ে লোকমান ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর লোকমান ও তার লোকেরা আবার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন বলেন, 'লোকমান ও তার লোকেরা আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে জায়গা দখল করে। লজ্জায় ঘটনাটি আমি কাউকে বলিনি। হাটহাজারীর ইউএনও সাহিদুল আলমের কাছে গেলে তিনি মামলার পরামর্শ দেন। পুলিশ প্রথমে আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে লোকমানের পরিবারের লোকজন আমার ঘর ভাঙচুর করে। আমাকে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ মামলা নেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।'
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম। এ বিষয়ে ইউএনও সাহিদুল আলম বলেন, ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার পর দুই নম্বর আসামি নাহিদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: