
নিউজ ডেস্ক: রুশ বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান দাবি করেছেন, তিনি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহরের নগর ভবনে রুশ পতাকা উড়িয়ে দিয়েছেন। ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বলেছেন 'আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে' বাখমুত এখন রাশিয়ার অংশ।
তিনি স্বীকার করেছেন, শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহল্লাগুলোতে ইউক্রেনের সেনারা এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। ইউক্রেনের সরকারও জোর দিয়ে জানিয়েছে, বাখমুত এখনও তাদের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়া গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে ইউক্রেন জোরালো ভাষায় দাবি করেছে, বাখমুত দখলের যে দাবি ওয়াগনার করেছে তা একেবারেই ভুয়া। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধান সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, যদিও রাশিয়া বাখমুতের ওপর তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে, ইউক্রেনের সেনারা সাহসের সঙ্গে শত্রুর হামলা প্রতিহত করছে এবং শহরটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
প্রেসিডেন্টে জেলেনস্কির স্টাফ প্রধান অন্দ্রি ইয়ারস্মাক 'সাজানো কাল্পনিক বিজয়ের' দাবি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হানা মালিয়ার জানিয়েছেন, বাখমুতের দখল নেওয়ার যে 'ভুয়া' দাবি ওয়াগনার প্রধান করেছেন তা 'হাস্যকর'।
ওয়াগনার, যারা নিজেদেরকে বেসরকারি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচয় দেয়, বাখমুত যুদ্ধে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে এবং এই যুদ্ধে তাদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। রাশিয়ার বিভিন্ন কারাগার থেকে হাজার হাজার দণ্ডিত অপরাধীদের বের করে এনে ওয়াগনার বাহিনীতে ঢুকিয়ে অল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে বাখমুতের রণাঙ্গনে পাঠানো হয়।
তবে, পাশাপাশি রুশ সেনারাও বাখমুতে লড়াই করছে। গত কয়েকমাস ধরে বাখমুটের দখল নিয়ে চলা রক্তক্ষয়ী লড়াইতে দুই পক্ষের হাজার হাজার যোদ্ধা মারা গেছে। ধারণা করা হয়, ইউক্রেনের চেয়ে রুশ পক্ষের প্রাণহানি হয়েছে অনেক বেশি।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: