
নিউজ ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়াকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। অন্যদিকে, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ পেয়েছেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হোসেনকে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একাধিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত ৩ জুলাই শফিকুর রেজা বিশ্বাসকে সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছিল। সেই আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।
একই সঙ্গে চুক্তিতে এক বছরের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব নিয়োগ পেয়েছেন অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগরত অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনে নিজ এলাকা নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সম্প্রতি প্রচার চালান খাজা মিয়া। এ বিষয়ে গত ৫ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সচিবের নির্বাচনী প্রচার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ৬ জুলাই ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এ ছাড়া নোটিশে খাজা মিয়াকেও তার অবস্থান তুলে ধরতে বলা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছিল।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া ভোটের মাঠে নেমেছেন। আগামী নির্বাচনে নিজ এলাকা নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
অথচ আরও এক বছর তার চাকরির মেয়াদ রয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তার অবসর গ্রহণের পর ৩ বছর পার হওয়ার আগে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: