• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

গ্যাস ফুরিয়ে আসছে, কূপ খনন পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৪ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪১ পিএম
কূপ খনন পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ
গ্যাস

ডেস্ক রিপোর্টার: মজুত গ্যাসের ভাণ্ডার প্রতিনিয়ত ফুরিয়ে আসছে। বাড়ছে না অনুসন্ধান কিংবা উত্তোলন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নানামুখী পদক্ষেপ থাকলেও জ্বালানি সক্ষমতা অর্জনের দৃষ্টিতে এখনো সন্তোষজনক পথে নেই বাংলাদেশ।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি ব্যয়ের বাড়তি বোঝা তৈরি করতে পারে নতুন সংকট। সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি নিশ্চিতে আমদানি নয়, গুরুত্ব দিতে হবে নিজস্ব সম্পদ অনুসন্ধানে।

বলা হচ্ছে, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এমডিজির মতো করেই ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজিও সফলভাবে অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ।

কিন্তু জ্বালানির ব্যবহার কিংবা এর মূল্যের প্রশ্নে এখনো টেকসই তকমার ধারেকাছেও নেই দেশ। হিসাব বলছে, ২০৩০ সালে যখন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সময় আসবে তখন বাংলাদেশের নিজস্ব গ্যাসের পরিমাণ দাঁড়াবে শূন্যে।

সরকারি তথ্যমাফিক, দেশে মজুত ২৮ টিসিএফ গ্যাসের মধ্যে তোলা হয়ে গেছে ১৯ টিসিএফের বেশি। অবশিষ্ট আর মাত্র ৯ টিসিএফ, যা দিয়ে চলবে বড়জোর ৮ থেকে ৯ বছর। এমন অবস্থার মধ্যেও গ্যাসের নতুন উৎসের সন্ধানে নেই জোরালো কার্যক্রম। গত দুই যুগে অনুসন্ধান কূপ খনন হয়েছে মাত্র ২৮টি, আর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে ৪টি।
 
সংকট সামাল দিতে নীতিনির্ধারকরা আমদানি করা এলএনজিতে সমাধান খুঁজলেও তাতে ব্যয় বাড়ছে সাধারণ মানুষের। দৈনিক মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতেই সবশেষ ২০১৯ সালে গ্যাসের দাম বাড়ে ৩৩ শতাংশ। নতুন করে ১১৭ শতাংশ দাম আবার বাড়ানোর আবেদনও এই এলএনজির জন্যই।
 
একদিকে ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি সংকট, অন্যদিকে অনুসন্ধানেও নেই আশানুরূপ গতি। জলে কিংবা স্থলে কোথাও কাটছে না স্থবিরতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং বিদেশ নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব সম্পদ অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিতে হবে।
 
ভূতাত্ত্বিক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম সময় সংবাদকে বলেন, যদি উচ্চমূল্যের জ্বালানির আমদানির দিকে যাই তাহলে এটা সাসটেনেবল হবে না। এটা বড় রকমের আর্থিক সংকট সৃষ্টি করবে বাংলাদেশে।  
 
আন্তর্জাতিক জ্বালানি পরামর্শক প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সুফি বলেন, যে দাম আছে সেই দামে যদি কিনতে হয়, তাহলে দেশকে পুরোটা ভুর্তকি দিতে হবে অথবা গ্যাসের দাম অনেক বাড়াতে হবে। সবগুলোই বাংলাদেশের জন্য বিরাট অসুবিধা।

জ্বালানি অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞরা সরব থাকলেও নীতিনির্ধারকরা এখনো সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়নেই।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, কয়েকটি কূপ আমরা গভীর খনন করব। সার্ভে এরিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্ভে করা হচ্ছে এবং শরীয়তপুর এলাকা সার্ভে করা হচ্ছে।

সমুদ্রজয়ের গল্পও সীমাবদ্ধ ঐতিহাসিক দলিলেই। এক দশকে নেওয়া হয়নি গভীর সমুদ্রে জ্বালানি অনুসন্ধানের একটিও প্রকল্প।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image