নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বনভূমির খালি জায়গাতে গাছ রোপনের কর্মসূচি থাকলেও ভালুকা উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে ২০০ একর জমিতে ১ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন হলেও এলাকার ভূমিদস্যরা এক লাখ ৩৪ হাজার ২০০ গাছের চারা ও খুঁটি তুলে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। এতে সরকারের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল সহকারে সংঘবদ্ধ চক্র গাছের চারা তুলে বন বিভাগের কর্মীদের নানা রকম হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় ভালুকা থানায় মামলা দিলেও মামলা নেই নি। পরবর্তীতে আদালতে মামলা করা হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
বন বিভাগ ভালুকার রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ খান জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জবরদখলকৃত উচ্ছেদ করা জমিতে স্বল্পমেয়াদি (ব্লক) বাগান সৃজনের লক্ষ্যে প্রধান বন সংরক্ষক দপ্তরের বরাদ্দ হতে বন বিভাগের আওতাধীন ভালুকা উপজেলার কাদিগর, মল্লিকবাড়ি, হবিরবাড়ি বিটে উচ্ছেদকৃত ও উদ্ধারকৃত ২০০ বনভূমিতে এক লাখ ৭৭ হাজার ২০০ টি বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করা হয়। তন্মধ্যে এক লাখ ৩৪ হাজার ২০০ চারা গাছ খুটিসহ তুলে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা।
বাগান সৃজনে বাঁধা, বাগানে রোপিত চারা উঠাইয়া ফেলা, প্রাণ নাশের হুমকি এবং সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বাঁধা অবরুদ্ধ করে রাখে।
এসব ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি। পরে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নং আমলী আদালতে মামলার নং ৯৩২/২০২৪ দাখিল করা হলে আদালত আমরা মামলাটির তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার জন্য থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অপর একটি মামলা ভালুকা থানা মামলার নাম্বার ১৫ তারিক ২৬/৮/ ২০২৪ দায়ের করা হয়। দুটি মামলারী বাদী ফরেস্ট বিট অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান। দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন সময়ে গত ২১ জুন থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রো্পিত গাছের যারা ও খুঁটি গুলি তুলে ফেলে।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ. ন. ম. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এ বিষয়টি ময়মনসিংহ অঞ্চলে সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে মোবাইলে অবহিত করা হয়। তাছাড়াও ভালুকায় বাগান সৃজনের সমস্যার বিষয়টি জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ এবং ডিজিএফআই এর কর্নেল জি.এস মহোদয়কে অবহিত করে সহযোগিতা কামনা করা হয়। এবিষয়ে ভালুকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নানা আলোচনা করা হলেও কোন অগ্রগতি হয়নি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: