• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিরামপুরে সরিষার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১২ এএম
বিরামপুরে কৃষকের মুখে হাসি
সরিষার বাম্পার ফলন

মোহাম্মদ রেজওয়ান আলী, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় বিরামপুরেও ব্যাপক হারে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষকের মন্তব্য ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলাধীন অনেকদিন পর কৃষকেরা এবারে চাষ করেছেন প্রায় সরিষা। এমন ফলনে পিষেধারা অনেক খুশি হয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে সারা জমিনে জানাজায় প্রত্যেক পাড়া মহল্লায় বসবাসরত কৃষকেরা চাষ করেছেন সরিষা।

প্রায় কিশোরী হরণ ভালো হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বিরামপুর উপজেলার প্রান্তিকপর্যায়ের কৃষকদের হাতে বোনা সরিষার হলুদ ফুলের নয়নাভিরাম শোভা আর বাতাসে ম-ম গন্ধ মেঠোপথের পথিকদের মুগ্ধ করে চলেছে। ভোজ্য ও ঔষধি গুণসম্পন্ন সরিষার মনোলেভা বাহারি ফুল ও দানা এখন বিরামপুরের বিল ও নদীর দু'পাশসহ মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার আবাদে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন এলাকার কৃষক। সরিষা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ার পাশাপাশি কাঁড়ি ও খড় শুকিয়ে সংরক্ষণ করে তা জ্বালানি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায়। সেই সঙ্গে সরিষার খৈল গবাদি পশুর পুষ্টিমান খাদ্য ও জমির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করে অনেক কৃষক। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাশ্রয়ী পথ। এ কারণে উপজেলার কৃষকরা সরিষা চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ার ফল পাচ্ছেন। সরেজমিন দেখা যায়,উপজেলার অনেক ইউনিয়নে কৃষকের নিজের ও বর্গাকৃত জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ ও করেছেন।

তারা আশা করছেন আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। সরিষা চাষে খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভবানের আশায় সরিষা চাষীরা। চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে এসএমই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনার সার,বীজ,জমিচাষের খরচ, সরিষা সংরক্ষণের জন্য বড় সাইজের ৪টি পস্নাস্টিকের কনটেইনার ও সংরক্ষণ প্যাকেটসহ সেলাই মেশিন পেয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার ফলনও ভালো হয়েছে।

এসএমই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনার বিষয়ে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তার মন্তব্য এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ বছরের জন্য উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সাতজন কৃষক একাধারে এ সরিষা চাষের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

চলতি রবি মৌসমে উপজেলার ৭৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা থাকলেও সরকারি কৃষি প্রণোদনা পাওয়ায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে বারি-৯, বারি-১৪,বারি-১৫,বারি-১৭ ও টরে-৭ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা চাষে কৃষকরা অনেক লাভবান এবং আগামীতে আরও উৎসাহের দৃশ্য অবলোকন করা যায়। এবারে লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত সরিষার চাষ অর্জিত হওয়ায় কৃষি বিভাগ নিজেদের সফলতা প্রকাশ করছেন। উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন সরিষা কাটার হিড়িক।

সরিষার এই ফলনে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের আভা ফুটে উঠেছে। এবারে দিনাজপুর জেলায় ২০ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকেরা কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় এবারে ২২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জিত করেছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত দুই হাজার ১৯৮ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ অর্জিত লাভজনক হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image