• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কুমিল্লায় মধু মাসের তাপদাহে বৃষ্টি নেই জনজীবন অতিষ্ট 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩৪ এএম
কুমিল্লায় মধু মাসের তাপদাহে বৃষ্টি নেই
জনজীবন অতিষ্ট 

মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম, কুমিল্লা: মধু মাস জৈষ্ঠ্য মাস, আম, জাম, কাঠল পাকানো মাস। কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সকল পেশার মানুষ গত কয়েকদিনের আগাম গ্রীষ্মের তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাস জুড়ে প্রচন্ড খরা ও ভ্যাপসা গরমে মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছে এলাকার অলি-গলি, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট। ঘুর্নিঝড় মোখার প্রভাবে ২/৪ দিন কিছুটা বৃষ্টি হলেও গত কয়েক দিনে তীব্র খরা, গরমের তাপদাহে ৫টি উপজেলার জনজীবন, গ্রামীনকুল বিপর্যস্ত ও দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

এর ফলে নানান ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে কয়েকহাজার শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধসহ সকল পেশার মানুষ। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ধুলা-বালুতে বাতাসে বিষাক্ত শিসা ছড়াচ্ছে এবং পুড়ে যাচ্ছে গাছপালা ও আবাদী জমির ফসল। এ দিকে অবৈধ ট্রাক্টর-ভেগু দিয়ে মাটি কাটার ফলে সরকারের কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধুলো বালি উড়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে।   

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, টানা বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাস জুড়ে  গরমের তীব্রতা এ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শত শত শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধ আক্রান্ত হচ্ছে গরমজনিত বিভিন্ন ভাইরাস রোগে। গত কয়েক সপ্তাহে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের প্রায় ৩ সহস্রাধিক বিভিন্ন ভাইরাস রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন সরকারী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে। ঔষধ দোকানগুলোতে বিভিন্ন ভাইরাস রোগীদের প্রচুর ভীড় বাড়ছে। এ অঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মানুষ। দিনে প্রচন্ড গরমে এ অঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ, শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধদের পোহাতে হচ্ছে বাড়তি দূর্ভোগ। এছাড়া বিভিন্ন ভাইরাস রোগ মারাত্মক ভাবে দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকায় কিছুটা স্বস্থিও চৈতালী বাতাস থাকলেও বিশুদ্ধ পানি ও ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। খাল-বিল, পুকুর, নদী এখন পানি শূন্য। মানুষ বাজার থেকে বিশুদ্ধ পানির নামে বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতল ও জার এবং ভেজাল ঔষধ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। 

সূত্রগুলো আরও জানায়, স্থানীয় আবহাওয়া অফিস টানা ভ্যাপসা গরমের আগামবার্তা ঘোষনা দেয়ায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশংকা করলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষা মৌসুম অনেক দেরী হচ্ছে। ফলে আসন্ন আমন ধান- গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ও মৎস্য চাষে বর্তমান পানি সংকটে বড় ধরনের দূর্ভোগে পড়েছে কৃষকরা। চৈত্রের এ গরমের তাপদাহে স্থানীয় খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের জীবনযাত্রার উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক মাসে প্রচন্ড খরতাপ ও ভ্যাপসা গরমে এলাকায় গরমজনিত বিভিন্ন  ভাইরাস রোগ-ব্যাধি বেড়ে গেছে। এসব রোগের আক্রান্ত রোগীরা প্রতিনিয়ত ভীড় করছে ঔষধের দোকানগুলোতে। এসব ভাইরাস রোগে শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। ২/৪ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে রোগ-ব্যাধি আরো বাড়বে বলে ধারনা এলাকাবাসীর। 

স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানায়, গত কয়েকদিনের টানা গরমে ভাইরাসজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য তাপদাহ ও দিনে ভ্যাপসা গরম ও রাতে শীত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্ম ও এ্যাজমাসহ বিভিন্ন ভাইরাস রোগীর সংখ্যাই বেশি। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, প্রচুর ঠান্ডা পানি, ঠান্ডাজনিত খাবার, স্যালাইন, শরবত, আখের রস, জুস, আইস ও মৌসুমী ফল-ফলাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এ তাপদাহ কেবলমাত্র জনজীবনে  অস্থিরতা আনছে না বরং মানবদেহের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তার উপর দিনে -রাতে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুৎ ভেলকিবাজিতো আছেই। 
এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্যদপ্তরসহ  একাধিক দপ্তর কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image