নিউজ ডেস্ক: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল কাসলে প্রয়াত হন তিনি। ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন সিংহাসনে থাকার রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
বৃহস্পতিবার রানির অসুস্থতার খবর পেয়েই স্কটল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজপরিবারের সকল সদস্য। সিংহাসনের পরবর্তী দাবিদার প্রিন্স চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা, রানির কন্যা অ্যান উপস্থিত ছিলেন রানির পাশে। রানির মৃত্যুর খবর পেয়ে স্কটল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছেন যুবরাজ হ্যারি এবং যুবরানি মেগান। গত দু’দিন ধরেই রানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে দেশবাসীকে শান্ত রাখতে বারবার রাজপরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, রানি ভাল আছেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, প্রয়াত হয়েছেন রানি এলিজাবেথ।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এলিজাবেথ। রাজপরিবারের দায়িত্বভার থেকে অব্যাহতি দিতে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তাঁকে বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবরাজ উইলিয়ামের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল কাসলে রাখা হয় তাঁকে। সেখান থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করছিলেন তিনি। ব্রিটেনের প্রথা ভেঙে বাকিংহ্যাম প্যালেসের বাইরে থেকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করা হয়। আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে প্রিভি কাউন্সিলের বৈঠকও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯৫৩ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের রানি হিসাবে অভিষেক হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথের। রাজপরিবারের সরাসরি উত্তরাধিকারী হওয়ার সূত্রেই তাঁর মাথায় উঠেছিল রানির মুকুট। ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার পাশাপাশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল রানির সাজপোশাকও। মাঝে মাঝে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কার্যকলাপের ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হলেও দক্ষ হাতে রাজপরিবারের হাল ধরেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ব্রিটেনে একটি যুগের অবসান হল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: