• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পটুয়াখালীর টাইগার চিংড়ি যাচ্ছে​​​​​​​ ইউরোপ-আমেরিকা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫০ পিএম
ইউরোপ-আমেরিকা
পটুয়াখালীর টাইগার চিংড়ি

নিউজ ডেস্ক : ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে পটুয়াখালীর উপকূল থেকে কোটি কোটি টাকার টাইগার চিংড়ি রফতানি হচ্ছে। এ চিংড়ি শিকার, বাছাই ও প্রক্রিয়াজাতের কাজ করে কর্মসংস্থান হয়েছে উপকূলের প্রায় অর্ধলাখ নারী ও পুরুষের।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) পটুয়াখালীর তেতুলীয়া নদী পাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগর থেকে টাইগার চিংড়ি শিকার করে জেলেরা ঘাটে নিয়ে আসেন। এরপরই সেখানে নারী-পুরুষের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যায়। কেউ ফিশিংবোট থেকে মাছ নামান। কেউ অন্যান্য মাছের মধ্য থেকে টাইগার চিংড়ি বাছাই করে বের করছেন। কেউ বা আবার টাইগার চিংড়ির মাথা কেটে আলাদা করে রফতানির উপযোগী করছেন।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ তেঁতুলিয়া পাড়ের জেলেপল্লিতে নিত্যদিন এমন ব্যস্ততার দেখা মিলে। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বাজারে এ চিংড়ির তেমন চাহিদা না থাকলেও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে পটুয়াখালী থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার টাইগার চিংড়ি বিদেশে রফতানি করা হয়।
 
এক টাইগার চিংড়ি ব্যবসায়ী বলেন, এখানে শ্রমিকদের দিয়ে মাছ প্রক্রিয়াজত করা হয়, তারপর সেটি খুলনায় নিয়ে যাই। সেখানে কারখানার মাধ্যমে মাছ রফতানি করা হয়। এতে দেশেরই উন্নয়ন ঘটছে।
 
এদিকে উপকূলের হাজার হাজার নারীর টাইগার চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কর্মসংস্থান হওয়ায় অনেক সংসারেই সচ্ছলতা ফিরেছে। এক নারী শ্রমিক বলেন, এখানে চিংড়ি মাছ প্রক্রিয়াজাত করে আমরা আমাদের সংসার চালাচ্ছি ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারছি।
 
বিদেশে রফতানিযোগ্য চিংড়ি শিল্পের প্রসারে জেলেদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল। তিনি বলেন, ‘চিংড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে বেশকিছু ফিশিংবোট কাজ করছে। আমরা এদের এ জাতের চিংড়ি ধরার জন্য উৎসাহিত করছি।
 
জেলার ১৫ থেকে ২০টি পয়েন্টে টাইগার চিংড়ি বিদেশে রফতানির জন্য প্রতিক্রয়াজাত করা হয়। এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যান খুলনায়। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে রফতানি করা হয়। আর এ চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে উপকূলের প্রায় ২০ হাজার পরিবার। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image