
শেখ লিটন, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় জেলা মহা সড়কের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বেড়েছে মটরসাইকেল চলাচল । যে ধারণ ক্ষমতা এ জেলার সড়কের তার চেয়ে বেশি গতিতে মটরসাইকেল চলাচল করছে । এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে শহরে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা । গেল ৬ মাস ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়কে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শহরে প্রাণহানী হয়েছে ৬১ জনের । সকাল দুপুরে বিকাল সব সময় মটরসাইকেল খুব দ্রুত গতিতে চলাচল করে এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রাণনাশের হুমকি ।
সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিটা শহর ঘুরে দেখা য়ায , চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার থেকে ঝিনাইদহ সড়ক দিয়ে অতি দ্রুত ও শহরে নিয়ম কানুন ভেঙে মটর সাইকেল চলাচল করে । বেশির ভাগেই দেখা যায় উঠতি বয়সের তরুণ ও এক ঝাক যুবক শহরে উপর দিয়ে হায়স্পীড দিয়ে গাড়ি চালায় । এতে কিছুক্ষণ পরে শোনা যায় শহরে ঝড়লো মটর সাইকেলে মুখমুখি সংর্ঘষ এতে আহত হয়েছে ২ জন নিহত হয়েছেন ৩ জন । এমনি এক ঘটনা সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা মটরসাইকেল মুখমখি সংঘর্ঘে ৩ জন মটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে আরো একজন আশংকাজনক ভাবে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে । যে সকল তরুণ যুবকরা গাড়ি চালায় তাদের নেই কোন ড্রায়ভিং লাইসেন্স ও গাড়ি চালানো দক্ষতা । অনেক সময় দেখা যায় শহরে হেলেদুলে দ্রæত গতিতে মটর সাইকেল চালায় এতে নিয়মিত শহরে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে ।
মটরসাইকেল দ্রুত গতিতে না চালানোর একাধিকবার সচেতন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা তথ্য অফিস থেকে । এতে কোন সমাধান আসেনি । চুয়াডাঙ্গা আইন-শৃঙ্খলা আলোচনায় সভায় একাধিকবার মটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কি করণীয় এ বিষয় আলোচনা করলেও তা কোন কাজে আসেনি । তবে চুয়াডাঙ্গা জেলার সচেতন মহলের দাবি করে বলেন , যে সকল ছেলেদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের কাছে কোন ভাবে গাড়ি দেওয়া যাবে না । কোন প্রকার যদি কেউ অতি দ্রæত মটরসাইকেল চালায় তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে জরিমানা করতে হবে । এবং শহরের ওপর যে সকল ট্রাফিক সার্জনরা দায়িত্ব পালন করে তাদের আরো কঠোর হতে হবে । তাহলে এ জেলার সড়ক দুর্ঘটনা কমবে এবং শহরের প্রাণ ফিরে পাবে ।
এসময় কথা হয় চুয়াডাঙ্গার এক পথচারি ফরিদ হোসেনের সাথে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন , আমাদের চুয়াডাঙ্গায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা । বেশির ভাগই দেখা যায় ১৮ বছরের ছেলেরা সড়কের ওপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। এতে আমরা সাধারণ যারা আছি তারা রাস্তায় চলাচল করতে পারি না ।
কথা হয় , চৃুয়াডাঙ্গার রেলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোকলেচুর রহমানের সাথে কথা হয় তিনি বলেন , এখন সড়কের চলাটা খুবই মারাত্মক ব্যাপার হয়ে গেছে । মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সড়কের প্রতিনিয়ত প্রাণ ঝরছে । যে সেকল অল্প বয়সের ছেলেরা গাড়ি চালায় এদের কোন নিয়ম কানুন নেই অদক্ষতার সাথে গাড়ি চালায় । এদের একটা প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা করা উচিত ।
এ ব্যাপারে কথা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, আমাদের এ জেলায় অতিরিক্ত মটোরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে । এতে এ জেলার সড়কের ওপর দিয়ে নিয়মিত তাজা প্রাণ ঝরছে । এ ব্যাপারে আমরা নিসচার সকল সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে একটা সমাধান বের করে কিছু না হলেও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে পারবো । এবং এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে । অল্প বয়সের ছেলেদের হাতে গাড়ি দেওয়া যাবে না । না দিলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে । আমাদের সড়কের সেই প্রাণ ফিরে পাবে ।
এ বিষয় কথা হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ট্রান্সর্ফোস চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, আমাদের চুয়াডাঙ্গায় গেল বছর থেকে মোটরসাইকেল চলাচল গতি বেড়ে গেছে । নিয়মিত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা । এতে সড়কে নিয়মিত প্রাণ ঝড়ছে । চুয়াডাঙ্গা যে সকল গাড়ি অল্প বয়সের ছেলেরা সড়কে চালায় এদের কে আমরা হেলমেট ও লাইসেন্স না থাকায় তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসছি । তবে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে । আর যারা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাছে তাদেরকে আমরা সচেতন করছি ও পরামর্শ দিচ্ছে ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: