মোঃ মো. জাহিদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি, বরিশাল : নদী মাতৃক এই বাংলাদেশে নৌ পথই ছিল এক স্হান থেকে আর এক স্হানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।
নদীর তীরে গেলে বাহারী রংয়ের পালতোলা নৌকার দৃশ্য ,দার বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝি মাল্লাদের মন ভোলানো ভাটিয়ালি গানের কন্ঠে প্রান জুড়িয়ে যেত। বিয়ে শাদি, কোথাও কোন কুটুম বাড়ি বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদি সবই ছিল নৌ পথ কেন্দ্রিক।কিন্তুুু যান্ত্রিক সভ্যতায় সব কিছুর পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে নৌপথেও স্হল পথ যোগাযোগ ব্যবস্হার আধুনিকতায় হাড়িয়ে গেছে অনেক স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বের নৌ পথ।
সকল ব্যবসা বানিজ্য নদীকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হতো বিধায় বিভিন্ন জায়গায় নগর , বন্দর গড়ে উঠেছে। এখন সব কিছুই স্মৃতি। এক সময়ের ঐতিহ্য বাহী বাকেরগঞ্জ বন্দরের পুরাতন লঞ্চ ঘাট যেখান থেকে বাংলাদেশের সব জায়গায় যাওয়া যেত। কেউ চাকরি বা ব্যবসা বানিজ্য করা কিংবা অন্য কোথাও যাওয়ার সময় মা,বাবা,ছোট ভাই বোনের লঞ্চ ঘাটে আগাইয়া দেওয়ার মায়াবী দৃশ্য এখনো মনকে তারা দেয়, নৌ যান ঘাট ছাড়ার পড় যত দুর চোখ যেত ততক্ষণ মায়েদের দাড়ানোর আবেগী দৃশ্য অপেক্ষা মান সকলকে কাদিয়ে দিত।
কিন্তুু এখন আর নদীতে নেই কোন লঞ্চ, নেই কোন ট্রলার বা নৌকা। এক সময়ের ঐতিহ্য মন্ডিত এই লঞ্চ ঘাট দিয়ে যাএী এবং পন্য বাহী নৌ যান দক্ষিণ অঞ্চলের পটুয়াখালী, বরগুনা, আমতলী, মির্জা গঞ্জ সহ বিভিন্ন স্হানে চলাচল করত।মানুষের কোলাহল, কুলিদের হাকডাক, রিক্সাওয়ালার বেলের টুংটাং শব্দ, চায়ের দোকানের হৈ হুল্লোড়ে মুখরিত থাকত। এখন সবই স্মৃতির জাদু ঘরে বন্দি। এখন আছে শুধু শুনশান নিরাবতা এক নিঃশব্দ নদীর পানির বয়ে যাওয়া স্রোতহীন জোয়ার ভাটার দৃশ্য।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: