• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিএনপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চ যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণাপত্র তৈরির সিদ্ধান্ত


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৩২ এএম
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়
বিএনপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের যৗথে সভা

নিউজ ডেস্ক:  সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলন আরও জোরদার করবে বিএনপি এবং সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণাপত্র তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ জোট। শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্র এসব তথ্য জানায়।

বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ও সরকার পতনের ১০ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফার সমন্বয়ে ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। এর জন্য উভয় শিবিরের তিনজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির আগে এটা চূড়ান্ত করে এক মঞ্চ থেকে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে সরকার পতনের আন্দোলনের রোডম্যাপ, গতি-প্রকৃতি এবং তা আরও জোরালো করার বিষয়ে নেতারা আলোচনা করেন। চলমান যুগপৎ কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণভাবে আরও এগিয়ে নিতে সম্মত হন দু'পক্ষের নেতারা। আন্দোলনকে আগামী অক্টোবরের আগে চূড়ান্ত রূপ দিতে এবং সফল করতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে অবস্থান নেওয়ার বিষয়েও তাঁরা একমত হন। একই সঙ্গে তাঁদের আন্দোলনকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সমর্থন আদায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

ঘোষণাপত্র তৈরি করতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি ও অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের ঘোষিত ১৪ দফাকে সংক্ষেপ করে ৭ দফায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই দফার সঙ্গে সমন্বয় করে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিন্ন ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। এ ছাড়া আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগীয় সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার বিষয়ে আলোচনা হয়। নতুন কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আবারও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে নব্বইয়ের গণআন্দোলনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ছাত্র ও যুবকদের রাজপথে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় রোডমার্চ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতে সরকার নানা ধরনের ফন্দি-ফিকির করছে। এ জন্য সংবাদমাধ্যমে কথা বলার আগে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মূলত, গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের একটি বক্তব্যকে ঘিরে বৈঠকে কথা উঠলে বিএনপি মহাসচিব ওই বক্তব্য দেন।

বৈঠকে একাধিক নেতা বলেন, কিছু নেতার বক্তব্যে আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এসব ব্যাপারে আরও দায়িত্বশীল ও কৌশলী হতে হবে। কারণ সরকার আন্দোলন নিয়ে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

বৈঠক শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, যুগপৎ আন্দোলনকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে কাজ করছি। খুব শিগগিরই এতে সফল হবো। এই কর্মসূচিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাই এবং ধীরে ধীরে বিজয়ের জায়গায় পৌঁছাতে চাই। আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্র, নারী ও যুব সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অংশ নেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image