নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের আলোচনা সভা হবে।
লাখো জনতা সেদিন তাকে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা ট্রাকে করে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নিয়ে যান। সেখানে সদ্য স্বাধীন জাতির উদ্দেশে প্রায় ২০ মিনিটের আবেগঘন ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। এরপর থেকে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে জাতি।
বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ কী চরিত্র নিয়ে দাঁড়াবে তার পট বঙ্গবন্ধু আঁকেন ১০ জানুয়ারির ভাষণে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের সমন্বয়, যার ভিত্তিমূল ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। তাই বঙ্গবন্ধু ধারণ করেন মানবমুক্তির দর্শন। সে অর্থে তিনি দার্শনিকও বটে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের কোনো নেতার পক্ষে এমন সফল বিজয় বিরল। ১০ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী দুদিনেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ইতিহাসের গতি নির্ধারণ করে দেন। তাই তার স্বদেশে ফেরা বহুবিধ কারণেই তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার মধ্যদিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানো বাংলাদেশের জন্য সহজ হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: