• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মধ্যরাতে ইমরান খানের পতন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:১৪ এএম
ফল ঘোষণা করেন আয়াজ সাদিক
ইমরান খানের পতন

নিউজ ডেস্ক:   টিকে থাকার সব ধরনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মধ্যরাতে পতন হলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। কাজ হলো না ট্রাম্পকার্ডে। সংবিধান লঙ্ঘন করে 'নো বলে উইকেট' নেওয়ার মূল্য দিতেই হলো তাকে। দিনভর পার্লামেন্টে একের পর নাটকীয়তার অবসান হলো অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়ানোর মধ্য দিয়ে। এখন আরও বিপদ তাড়া করবে তাকে। পড়তে হবে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার মুখে।

পাকিস্তানের ইতিহাসে শনিবার এক অন্য ইতিহাসের জন্ম হলো। এই প্রথম দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন। এর আগে ১৯৮৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও ২০০৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। তবে উভয়েই সেই ভোটে জিতে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন।

অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট বিলুপ্তির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে শুক্রবার ঐতিহাসিক রায় দেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় অনুযায়ী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পার্লামেন্টের (জাতীয় পরিষদ) অধিবেশন শুরু করেন স্পিকার আসাদ কাইসার। শুরু হয় উত্তেজনা। প্রথম থেকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনে বিরোধীদের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করেন স্পিকার। সরকারদলীয় আইনপ্রণেতাদের দীর্ঘ বক্তব্য শুনতে থাকেন। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব তোলার ওপর জোর দিলেই চার দফায় অধিবেশন মুলতবি করেন। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। 'বিদেশি ষড়যন্ত্র' তত্ত্বে অনড় থেকে ইমরান খানের প্রতি দ্ব্যর্থহীন আস্থা দেখিয়ে পদত্যাগ করে পার্লামেন্ট ছাড়েন তারা দু'জন।

স্পিকারের কাইসারের পদত্যাগের পর নতুন করে শুরু হয় পার্লামেন্টের কার্যক্রম। স্পিকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিক। দেশটির পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার পদত্যাগ করলে পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের একটি প্যানেলের চেয়ারম্যান অধিবেশন চালাতে পারেন। সে অনুযায়ী, অধিবেশন পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন আয়াজ সাদিক।

পদত্যাগের আগে স্পিকার কাইসার বলেন, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রের পোক্ত নথি মন্ত্রিসভার মাধ্যমে তার হাতে এসেছে। এটি দেখার জন্য প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। এরপর দায়িত্ব নিয়ে আয়াজ সাদিক বলেন, দলের প্রতি আস্থাশীল থেকে মর্যাদার সঙ্গে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন স্পিকার কাইসার।

অধিবেশন চালানোর দায়িত্ব পেয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপনমূলক বক্তব্য দেওয়ার পর পার্লামেন্টে পাঁচ মিনিটি ধরে বেল বাজিয়ে এমপিদের (জাতীয় পরিষদ সদস্য) সতর্ক করেন নবনিযুক্ত স্পিকার আয়াজ সাদিক। এরপর পার্লামেন্টের সব দরজা বন্ধ করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর আবার দরজা খুলে প্রস্তাবে পক্ষের এমপিদের বাইরে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। নিয়ম অনুযায়ী, চার মিনিটের জন্য পার্লামেন্ট মুলতবি করেন। এরপর আবার অধিবেশন শুরু করেন। নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রারে ভোটাররা স্বাক্ষর করার পর সেটির নথি স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়।

ভোট গণনা শেষে স্থানীয় রাত ১টায় ফল ঘোষণা করেন আয়াজ সাদিক। পার্লামেন্টের ৩৪২ আসনের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। ইমরান খানকে পরাজিত করতে বিরোধীদের প্রয়োজন ছিল ১৭২ ভোটের। ভোটের পর পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এনের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব জানান, স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়ায় আয়াজ সাদিক ভোট দেওয়া বিরত থাকেন। এ ছাড়া ইমরান খানের দলের এমপিদের ভোট গণনায় নেওয়া হয়নি।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image