• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দেশের রাজনীতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০০ পিএম
দেশের রাজনীতি নিয়ে
রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য

নিউজ ডেস্ক : বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে লাগাতার মন্তব্য করে আসছেন। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিরক্ত হলেও নেই কড়া প্রতিবাদ। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য কূটনৈতিক নীতিমালার পরিপন্থি। এর মাধ্যমে কেবল শিষ্টাচার নয় রাষ্ট্রাচারেরও লঙ্ঘন করছেন রাষ্ট্রদূতরা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের সরাসরি মন্তব্য করার পরিধি বাড়ছে দিনকে দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত। এমনকি নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন নিয়েও মন্তব্য করেন তারা।

কমিশন গঠনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নানা মতামত দিতে দেখা যায় কূটনীতিকদের।

রাষ্ট্রদূতদের এমন আচরণকে শিষ্টাচারবহির্ভূত উল্লেখ করে বিরক্তি প্রকাশ করে আসছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি চলমান থাকলে অন্য কোনো পথে সুরাহার হুঁশিয়ারিও দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তবে একই দিন ১৩ অক্টোবর সকালে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, সমালোচনা চললেও মন্তব্য চালিয়ে যাবেন তারা।

এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় পার্টির সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাতের পর ঘুরেফিরে আসছে কূটনীতিকদের আচরণ প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারো সতর্কতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছেন কূটনীতিকদের প্রতি। বলেন, দেখা তো করতেই পারেন; এতে কোনো সমস্যা নেই। এটি কূটনৈতিক নিয়ম। তবে অভ্যন্তরীণ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামানো কূটনীতিকদের নীতিমালা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থি। কোনো অভিযোগ থাকলে কেবল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করতে পারে তারা।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘ভিয়েনা কনভেনশনে স্পষ্টভাবে লেখা আছে কোনো রাষ্ট্রদূত দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কথা বলবেন, কাজ করবেন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তারা অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছেন। সেটা অগ্রহণযোগ্য।’

কেবল শিষ্টাচার নয় এমন আচরণ রাষ্ট্রাচারেরও পরিপন্থী বলে মনে করেন অনেকে। লাগাতার এমন কাজে পক্ষপাতী আচরণ প্রকাশ পায় কূটনীতিকদের। সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা বলেন, তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে তারা কি কোনো পক্ষপাতিত্ব করছেন কি না। শিষ্টাচারের যে ধরনের আচরণগুলো আশা করা হয় এটা তার বাইরে।’

এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image