• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চার মাসে তিনবার বন্ধ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:০৯ পিএম
চার মাসে তিনবার বন্ধ
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক : ৩ মাসের ব্যবধানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কমপক্ষে ৩ বার বন্ধ হয়েছে। বারবার হোঁচট খাচ্ছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এবার ১ সপ্তাহ ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকার মূল কারণ কয়লা সংকট। আর এ সংকট কাটিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর জন্য কমপক্ষে আরও সপ্তাহখানেক অপেক্ষায় থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ডলার সংকটের কারণে তারা ঋণপত্র খুলতে পারছেন না।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তবে নানা বিতর্ক সঙ্গী করে চলা কেন্দ্রটির পরবর্তী যাত্রা আর তেমন সাবলীল হয়নি। চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কমপক্ষে ৩ বার বন্ধ হয়েছে।

জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় কয়লাভিত্তিক বড় এ কেন্দ্রটি প্রথম ধাক্কা খায়। কয়লা সংকটে ১৪ জানুয়ারি বন্ধ হয়ে যায় ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের উৎপাদন। সংকট কাটিয়ে ফের চালুর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় পুরো এক মাস। দুই মাস পর গত ১৫ এপ্রিল আবারও বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটি, যার কারণ যান্ত্রিক ত্রুটি বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।

তিন দিনের ব্যবধানে সচল হলেও ৫ দিনের মাথায় আবারও হোঁচট খায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এবার বন্ধ হওয়ার কারণ আবারও সেই কয়লা সংকট। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ডলারের অভাবে ঋণপত্র খুলতে না পারার কারণেই বারবার সংকটে পড়ছে রামপাল।
 
এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা তো গত কয়েক মাস একটি চ্যালেঞ্জের মুখে গিয়েছি। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিষয় ছিল। ঋণপত্র খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। এটি একান্তই সাময়িক। আশা করছি, আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারব।
 
বিদ্যুৎ বিভাগ জানাচ্ছে, সপ্তাহখানেকের মধ্যে ৫৫ হাজার টন কয়লার চালান আসছে, যার ওপর ভর করে ফের চালু হবে রামপাল। যদিও এ পরিমাণ কয়লা দিয়ে কেন্দ্রটি বড়জোর সপ্তাহ দুয়েক পুরোদমে উৎপাদনে রাখা যাবে।

কাজেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে যথাযথ পরিকল্পনার অভাবের প্রতিফলন রামপাল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও স্পষ্ট হচ্ছে। 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, এটি তো পুরো প্রক্রিয়াই অংশ। গ্যাস না দিতে পারলে বন্ধ হবে। তেল না দিতে পারলে বন্ধ হবে। কয়লা না দিতে পারলে বন্ধ হবে। অথবা স্বল্প ক্ষমতায় চলবে।
 
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, এখানে একটি জবাবদিহির বিষয় চলে আসে। এটি থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে জ্বালানির জোগান কীভাবে দেয়া হবে, সে পরিকল্পনার মধ্যে বড় ধরনের দুর্বলতা রয়ে গেছে। যার কারণে মাঝে মাঝেই কয়লার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
 
কাজেই সামগ্রিক অর্থনীতি, উৎপাদন সচল রাখা আর জনজীবনে স্বস্তি নিশ্চিতেই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি খাতের অস্থিরতা দেশের বিদ্যুৎ খাতকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে তার অন্যতম উদাহরণ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। একদিকে ক্রমেই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা অন্যদিকে দেখা দিয়েছে নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতা। এমন পরিস্থিতিতে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image