আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় নিত্যপণ্যের জন্য হাহাকার আরও তীব্র হয়েছে। বুধবারও (১৩ এপ্রিল) তেল, গ্যাসের জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। খাবারের দামও আকাশছোঁয়া। এ অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধীরা। যদিও বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে গোতাবায়া সরকার।
দেশটিতে পেট্রল পাম্প থেকে তেল ও গ্যাস নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। জ্বালানির অভাবে বন্ধ শ্রীলঙ্কার অধিকাংশ পেট্রল পাম্প। যে কয়টি খোলা রয়েছে তাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও মিলছে না তেল গ্যাস।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের অনেক সমস্যা। তেল, গ্যাস, ডিজেল কেরোসিন কিছু নেই। নববর্ষেও আমাদের সব কিছুর জন্য হাহাকার।
নববর্ষে ন্যূনতম আয়োজনের জন্য কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কেরোসিন কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন অনেকে। ঘরের বাতি জ্বালাতে একটু কেরোসিনের জন্য দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, তেল গ্যাস কিছু নেই। শিশুদের দুধ কিংবা ওষুধেরও মারাত্মক সঙ্কট। সব জায়গায় মানুষের দীর্ঘ লাইন। দেশ পরিচালনা করতে না পারলে সরকারের এখনি পদত্যাগ করা উচিত।
বাজারেও শাকসবজি ও নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বেশিরভাগ পণ্যই এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। নববর্ষের সময় বাজারগুলোতে যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না এবার সে চিত্র একেবারেই ভিন্ন। শুধুমাত্র সামর্থবানরাই কোনো রকম বাজার করছেন।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভ করে আসছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। এবার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বিরোধীরা। শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী জোট এসজেবি জানায়, আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসলে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে তারা। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির সরকার।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: