
নিউজ ডেস্ক: জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমে এখন আক্ষরিক অর্থেই হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাত্রাছাড়া লোডশেডিং। এতে মানুষের ভোগান্তি সীমা ছাড়িয়েছে। রাজধানী ঢাকাতেই গত কয়েকদিন ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে। গরমের মধ্যে বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিঘ্নিত হচ্ছে কলকারখানার উৎপাদনও।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে গরম কমারও সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে কয়লা সংকটে দু-একদিনের মধ্যেই পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কয়লা আসতে কমপক্ষে ২৫ দিন সময় লাগবে। ফলে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চলতি মাস প্রায় পুরো সময় বন্ধই থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। অর্থাৎ সামনের দিনগুলোতে লোডশেডিং নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।
রাজধানীর মুগদার বাসিন্দা তানিম কবির বলেন, গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় টেকা দায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ গেছে, এসেছে দেড়টায়। এভাবে বিদ্যুতের যাওয়া-আসায় গরমে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না। শিশুরা ভীষণ কষ্টে আছে।
রংপুরের পীরগঞ্জের আসলাম শেখ বলেন, দিনে আট-নয়বার বিদ্যুৎ যায়। প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। ময়মনসিংহের ভালুকার একটি কারখানার ব্যবস্থাপক রহমত উল্লাহ জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে দিনের একটা বড় সময় কারখানা বন্ধ থাকে।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে লোকজনকে চার্জার ফ্যান, এসি কিনতে দেখা গেছে। লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর বেশি চালাতে হচ্ছে। এজন্য ডিজেলের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক পেট্রোল পাম্প মালিক।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: