জাফর আলম,কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার নতুন অফিস বাজারে দোকান মালিকের ছোট ভাই কাউছারের সাথে বাজি ধরে গরম 'চা' পানে মোস্তফা (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক ওই দোকানের কর্মচারী ছিল।
এঘটনায় তাওয়াককুল জুস কর্নার নামের দোকান মালিক জমিরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার ওসি কিছুই জানেন না। তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বিষয়টা রহস্যঘেরা। তদন্ত করা জরুরি মনে করছেন সচেতন মহল।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ফুলছড়ি নতুন অফিস বাজারের তাওয়াককুল জুস কর্ণারে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোস্তফা উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে দাবী করেন পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুত্রে জানা গেছে, নতুন অফিস বাজারস্থ শের আলী মার্কেটে তাওয়াককুল জুস কর্নার নামের একটি চা'র দোকান খুলেন ইসলামপুর ইউনিয়ন বাঁশকাটা গ্রামের মোক্তার আহমদের ছেলে জমির উদ্দীন। ওই দোকানে ছিল রোহিঙ্গা যুবক মো. মোস্তফা।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে দোকান মালিক জমির, তার ছোট ভাই কাউছার উদ্দিন মিলে
কর্মচারী মোস্তফার সাথে তিন সেকেন্ডে গরম চা পান করা নিয়ে ৫০০ টাকার বাজি ধরেন।
দুই তিন সেকেন্ডে গরম চা পান করতে গিয়ে কর্মচারী কন্ঠনালি পুড়ে যায়। মুহুর্তে যন্ত্রণা শুরু হলে জ্বালা-যন্ত্রণার উপশমে তাকে ঠাণ্ডা পানি ও আইসক্রিম খাওয়ানো হয়। পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই ঈদগাঁও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দোকান মালিক জমিরকে আটক করেন। তার ছোট ভাই কাউছার পালিয়ে যান। অবশ্য আটকের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির।
ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, যুবকের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এবিষয়ে তারাই ভালোভাবে জানতে পারবেন, কোন কথা থাকলে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
পাশাপাশি ওসি এও বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: