• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চীনের বাজারে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা কাজে লাগানোর পরামর্শ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০১ পিএম
দেশটি একটি বিশাল বাজার
চীনের বাজারে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা

নিউজ ডেস্ক:    চীনের বাজারে ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু নানা কারণে এ সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ এর মাধ্যমে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব। কমিয়ে আনা যায় বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিও। এজন্য রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি এর গুণগত মান বাড়াতে হবে। জোর দিতে হবে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বিনিয়োগে। এজন্য একটি বাণিজ্যচুক্তিও করা যেতে পারে।

রাজধানীর একটি হোটেলে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্ট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) এবং বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে এজন্য শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। আরও নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন করে তা রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে আসবে বাংলাদেশ। চীন আরও তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্ক্কমুক্ত অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে একটি এমওইউ সই হয়েছে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।

শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন বাংলাদেশ নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কর্ণফুলী টানেলের উদ্বোধন নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা নেই। নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ হয়তো শিগগিরই রিজিওনাল কমপ্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের সদস্যপদ পাবে। এতে বাণিজ্যের সুযোগ অনেক বাড়বে।

মূল প্রবন্ধে র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত অর্থবছর চীনে ৬৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, চীন থেকে আমদানির পরিমাণ বছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি বাড়িয়ে বিশাল এই বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব। চীন প্রতি বছর ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। দেশটি একটি বিশাল বাজার।

বিসিসিসিআইর সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বিসিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল মামুন মৃধা প্রমুখ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image