• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চাল ও গম আমদানিতে এলসি শিথিল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৭ এএম
আমদানিতে এলসি শিথিল
চাল ও গম

নিউজ ডেস্ক : এলসি মার্জিন চাল ও গম আমদানির ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে । এখন এসব পণ্যের এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। চাল ও গমের আমদানি বাড়িয়ে এগুলোর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা জারির দিন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে পরিবহণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দামেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল ও গমের দাম সহনীয় এবং সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, এর আগে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে এলসি মার্জিন বাড়ানো হলেও চাল ও গমের ওপর বাড়তি মার্জিন আরোপ করা হয়নি। নিত্যপণ্যের কারণে চাল ও গমকে বাড়তি মার্জিনের আওতায় বাইরে রাখা হয়েছিল। এতে এলসি খোলার ওপর মার্জিন ছিল ১৫ থেকে ১০ শতাংশ। গ্রাহকভেদে এ মার্জিন কমবেশি হতো। আন্তর্জাতিক বাজারে এগুলোর দাম বাড়ার কারণে উদ্যোক্তারা এলসি খোলা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে গত অর্থবছরে চাল আমদানির এলসি খোলা যেমন কমেছে, তেমনি আমদানিও কমেছে। গত অর্থবছরে চালের এলসি খোলা কমেছিল ৪৭ শতাংশ এবং আমদানি কমেছিল ৯ শতাংশ। 

গত অর্থবছরে এলসি খোলা কমায় চলতি অর্থবছরের শুরুর দিকেও আমদানি কমে যায়। এতে দেশে চাল ও গমের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। মাঝারি মানের চালের দাম ৫২ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৭০ টাকা হয়েছে। আটার দাম ৩২ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮০ টাকা হয়েছে। বাড়তি দামেও চাহিদা অনুযায়ী আটা মিলছে না। এ কারণে বেসরকারি খাতে চাল আমদানির এলসি খোলা বাড়াতে তিন মাস ধরে সরকার থেকে উদ্যোক্তাদের বলা হচ্ছে। কিন্তু উদ্যোক্তারা এলসি খুলছেন না। এ জন্য তারা ডলার সংকটকে দায়ী করছেন। 

ব্যাংক ডলার দিতে পারছে না। ফলে চলতি অর্থবছরের শুরুর দিকে এলসি খোলা কমে যায়। তবে সম্প্রতি এলসি খোলা বাড়তে শুরু করেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বরে চাল ও গমের এলসি খোলা বেড়েছে ৩২ শতাংশ। তবে আমদানি কমেছে ২২ শতাংশ।

এখন থেকে আমদানিকারকরা ১ থেকে ৫ শতাংশ হারে এলসি খুলতে পারবেন। অর্থাৎ ১০০ টাকার এলসি খুললে উদ্যোক্তাকে দিতে হবে ১ থেকে ৫ টাকা বাকি ৯৯ থেকে ৯৫ টাকা দেবে ব্যাংক। একই সঙ্গে এসব আমদানিতে ডলারের জোগানও বাড়ানো হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image