
সুমন দত্ত : "ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩" নামে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। এখন থেকে ভূমি সংক্রান্ত কতিপয় ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যা আগে কখনও করা হয়নি। এছাড়া ভূমি সংক্রান্ত মামলার সময় সীমাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতে ভূমির মামলা ১৮০ দিনে নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে আগের মামলা গুলো চলবে যথারীতি পুরান নিয়মেই। নতুন মামলা গুলোর ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হবে। বুধবার ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সচিবালয়ের সভাকক্ষে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব খলিলুর রহমান চৌধুরিসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যরা।
ভূমি মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম যাতে নিশ্চিন্তে ভূমিতে বসবাস করতে পারে এজন্য এই আইন তৈরি করা হয়েছে। এই আইনের ফলে এখন থেকে কেউ কারো সম্পত্তিতে জবর দখল করে বসে থাকতে পারবে না। দলিল যার ভূমি তার। এই নীতিতে সবাইকে চলতে হবে। এটারই বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভূমির ডিজিটাল জরিপ শুরু হওয়া কারণে চলতি বিএস জরিপ বাতিল করা হয়েছে। দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনাকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসাই হচ্ছে এর লক্ষ্য।
সচিব খলিলুর রহমান বলেন, ৬০ বিঘার উপরে ব্যক্তিগত কৃষি জমি কারো নামে থাকতে পারে না না। উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেলেও তা ৬০ বিঘার সিলিং অতিক্রম করলে তা সরকার উপযুক্ত মূল্য দিয়ে নিয়ে নেবে। তবে এ সংক্রান্ত বিধি এখনো তৈরি হয়নি। হলে এই নিয়মের বাস্তবায়ন হবে।
ভূমি সংক্রান্ত যে আটটি ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে আমলে নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো ভূমি প্রতারণা, ভূমি জালিয়াতি, অবৈধ দখল, ক্রেতা বরাবর বিক্রিত ভূমির দখল হস্তান্তর না করা। সীমানা বা ভূমির ক্ষতিসাধন, সরকারি আধাসরকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণে ব্যবহার করা ভূমি অবৈধ ভাবে ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন, মাটি উপরের স্তর কর্তন ও ভরাট।
নতুন আইনের আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে এই সংক্রান্ত অপরাধকে ফৌজদারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ভূমি প্রতারণা ও জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিচার হবে। এবং ১৮০ দিনে তা নিষ্পত্তি হবে। এছাড়া ভূমি সংক্রান্ত আরো কিছু অপরাধ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে হবে। যার জেল জরিমানার মেয়াদ সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: