নিউজ ডেস্ক: কানাডায় বসবাসকারী শিখ আন্দোলনকর্মী হত্যার অভিযোগে কানাডা এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমের দেশগুলি এই বিষয়ে নীরব থেকে তাদের দ্বিমুখি আচরণ দেখাচ্ছে।
চীনের মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে। তাদের মতে আজ দেশটি ভারত না হয়ে অন্য কেউ হলে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া ভিন্ন রকম হতো।
গ্লোবাল টাইমসের মতে, ভারতের ঘটনাকে পশ্চিমারা "মানবাধিকার লঙ্ঘন" হিসাবে নিন্দা করতে পারত। কিন্তু তারা সেটি করেনি। যেহেতু ভারতের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব । এ কারণে
পশ্চিমা দেশগুলি এক সঙ্গে নীরব থাকার অবস্থান বেছে নিয়েছে।
গ্লোবালের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ পূরুণ যেখানে সেখানে নীতি নৈতিকতার কোনো প্রশ্ন উঠে না। উপরন্ত দেখা যাচ্ছে ভারত কানাডার ওপর ভিসা স্থগিতের মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে। কানাডার অভিযোগটি ফাইব আইস থেকে নেওয়া। তারপরও পশ্চিমা শক্তিগুলো ভারতের বিষয়ে নীরব।
দ্য গার্ডিয়ান বলছে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই বিষয়টি "একটি অস্বস্তিকর এবং অনাকাঙ্খিত" , যখন এই দেশগুলো ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিতে ব্যস্ত।
এই ঘটনাকে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে কৌশলগত বাধা হিসাবে দেখা হচ্ছে । সচেয়ে মজার বিষয় হলো, কানাডা তার মিত্রদের সমর্থনের জন্য মরিয়া হয়ে আহ্বান জানাচ্ছে, বিপরীতে দেখা যাচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন যে "কোয়াড আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সবার জন্য খুলে দিন।"
টুইটের নীচে, একজন ভারতীয় নেটিজেন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "তাহলে কানাডা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পক্ষে আছে? ধরে নেব কি "
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: